তারাশঙ্কর-রচনাবলী [খণ্ড-১] | Tarashankar-rachanabali [Vol. 1]

খাঁটি কথা, সত্য কথা ।”' এই খন্জু্দশিতা ও খত-ভাষণ যে আর কোনও কথাকারের মধ্যে নাই, এমন কথা কেহ বলিবে না। কিন তাহার সাহিত্যিক-জীবনে তারাশঙ্কর, আর অনেকের মতন, HABIT সাহিত্য- atin ভূমিক| লইয়া, সাহিত্যের মাধ্যমে “বড় একটা কিছু'র প্রকাশ বা প্রচার করিব এইরূপ বোধ লইয়া বা প্রতিজ্ঞা sia, একটা উগ্রতার মঙ্গে প্রকটিত আকাঙ্ক্ষা! লইয়া সাহিত্য-ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হন নাই। এবং সাহিত্যিক কেরামতি দেখাইবার, চটক দেখাইবার gate তাঁহার ছিল না । যেখানেই লেখক একটা] কোনও বিশেষ ism বা মতবাদের দহের মধ্যে পড়িয়া যান, এবং স্বেচ্ছায়-অনিচ্ছায় তাহার প্রচার লইয়া মাতিয়া উঠেন ও 'সাহিত্য-রচনা' করেন, শেষ পধ্যস্ত cat 'সাহিত্য' ধোপে টিকে না যাহারা বিশেষ কোনও মতের দলের বা দলভুক্ত নহে, . তাহারা ব্যতীত অন্য canes সাহিত্য-রসিক, যাহার] এই মত-চক্রের অস্ততুক্তি নহেন, তাহারা শেষ পধ্যস্ত এদিকে oR না। তারাশস্করের সাহিত্যিক HINTS, তাঁহার সার্ছিত্যিক Aw এ পথের পথিক ছিল না। এই জন্যই তাহার এতটা জনপ্রিয়তা | তারাশক্করের আর একটি জনাকর্ষক গুণ--যে বাঙ্গালী সমাজে, পশ্চিম-বঙ্গের যে গ্রাম্য পরিবেশে তিনি জন্মগ্রহণ করেন, যাহার মধ্যেই ছিল তাঁহার অবস্থান, ce সমাজকে সেই পরিবেশকে তিনি মনে-প্রাণে ভালবাসিতেন। দোষে-গুণে যেমন মানুষ, তেমনি সব সমাজই দোষে-গুণে নিজ গতিপথ ধরিয়| চলিয়াছে। বাঙ্গালী হিন্দু সমাজ, ধনী মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত,জমিদুর *ব্যবসায়ী বুদ্ধিজীবী, কৃষক শিল্পজীবী অমজীবী-_তাহার ভাল-মন্দ সব VN যে ভাবে তাহার aq দৃষ্টির সামনে দেখা দিয়াছিল, সেই ভাবে-ই তাহাকে তিনি মানিয়। লইয়াছিলেন, এবং সমগ্র-ভাবে নিতাস্ত আপনার জিনিস, স্থপরিচিত জিনিস বপিয়াই তাহাকে ভালবাসিয়াছিলেন। তাহার সমাজ-প্রীতি “পাঠা কাট্‌তে পারিস্‌ ? না--কতক কতক !” এই লপোকোক্তি-বিত ষে- ভাবের সীমিত শক্তি বা যোগ দেখি, সে ভাবের আংশিক প্রীতি, 'ওজন-করা ভালবাসা, তারাশঙ্করের সমাজ-চেতনায় ছিল না, প্রাণ ঢালিয়া তিনি সমাজের দর্শক এবং অঙন্গরাগী সেবক, দুই-ই ছিলেন। অনেকে সমাজের কথা, গ্রামের বা শহরের মানের কথা বলিতে গেলে,মাক্ষিকী- বৃত্তি অবলম্বন করিয়| বসেন, তাহার দোষ-ত্রুটির কথাই বেশি Shar Stators কাছে ধরা দেয়। যাহাদের মনে এ বিষয়ে সত্যই বেদনা-বোধ আছে, কেবল ভাব-বিলাস নহে, তাঁহাদের রচনায় FANGS ও ভালবাসার কোনও অভাব দেখা যায় না--এবং সেই জন্য তাঁহারা! যাহা বলেন তাহার মধ্যে একটা সততা, একটা মানবিক চেতনা, একটা সার্থকতা সর্বদাই দেখা যায়। এ বিষয়ে মনে হয় আমিও তারাশঙ্করের সঙ্গে সমবনধর্মা। আমাদের বাঙ্গালী ও ভারতীয় হিন্দু-জগতের শত অক্ষমতা, জ্ঞানহীনতা, নির্বোধ Faro, অপরাধ সত্বেও আমি তারাশস্করের মতই ইহাকে ভালবাসি। ইহার জন্য বেদ্না-বোধ করি; বহু বিষয়ে মনে-মনে লজ্জা অন্তব ক্রি, আবার সঙ্গে-সঙ্গে বহু বিষয়ে গর্ব-বোধও করি। প্রথমেই এই সমাজের মধ্যে নিহিত অবগুণের তালিকা তৈয়ারী করিয়া, ইহা যে কতদূর হেয় তাহা জানাইয়, আমি ইহার Coa” অবস্থিত উচ্চতর “প্রগতিশীল” আদর্শের অধিকারী বলিয়া আত্মতৃপ্তি লাভ