বাংলার লোকসংস্কৃতির সমাজতত্ত্ব | Banglar Loksanskritir Samajtattwa

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
de বাংলার লোকসংস্কৃতির সমাজতত্ত. ভিতের উপর তিনি যখন গগনটচুম্বী বিশাল সৌধ নির্মাণ করেছেন, তখন সেই বনিয়াদের সঙ্গে চূড়ার সংযোগ আরও FH হয়েছে। যৌবনের গোড়া থেকেই দেখা যায়, স্বদেশের প্রাক্ৃতজনের ভাব ও ভাষার, কীতি ও কাহিনার প্রত্যক্ষ স্পর্শলাভের জন্য তার মন উন্মুখ হয়ে উঠেছে। পুরাতাত্তিক ও মানববিজ্ঞানীর মতো তার আগ্রহ কেবল মিদ্রশশন-সংগ্রহ এবং তার বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যানের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। ব্রত ও ছড়া, গাথা ও গানের ভাব ও ভাঁযার অনায়াস Waal, মাধুর্য ও সারল্য, ছন্দ ও স্থরের স্বাভাবিক কলানৈপুণ্য এবং সবার উপরে তার দেশীয় রূপ-রস-গম্ধ-ব্ণ, কি উপায়ে সম্পারত করতে পারলে নব্যুগের সাহিতাস্ষ্টি সার্থক হয়ে উঠতে পারে, এই ছিল Sta প্রধান fowl) অবশ্য এ-চিন্ত] তখন উৎক্ষিপ্ত তরঙ্গের মতো তাঁর মনটাকে তোলপাড় করছিল, স্থির ও গভীর হতে পারে নি। বয়স তখন তার একুশ কি বাইশ। এইসময় “সঙ্গীত সংগ্রহ? নামে বাউল গানের একটি সংকলন তার হাতে আসে সমালোচনার জন্য এবং 'ভারতী” পত্রিকায় তিনি তার সমালোচন] করেন ।' 'বৈজ্ঞানিকের আবিষ্কারের মতো এই বাউল গানের সংকলনটি তার জাঁবনের সামনে এক নতুন রহস্যময় জগতের দ্বার খুলে cra) আলাদিনের গুহালোকের চেয়েও set gal সাহিত্যের অকুল সমুদ্রে পাড়ি দেবার প্রারভ্ডেই মনেহয় যেন তিনি তার সাধনতরীর বৈঠা খুজে পেয়েছিলেন | অন্তত তার সমালোচনাটি পড়ে তাই মনে হয়। মানসজমিনে হলকর্ষণ হয়েছিল তার আগেই, 'জ্যোতিদাদা,” “বৃদ্ধ রাজনারায়ণবাবু, 'নবগোপাল faa’, মেট্রোপলিটন কলেজের স্থপারিণ্টেঞ্ডে্ট 'ব্রজবাবু? এবং আরও অনেকে AY CHS হলচালন] করেছিলেন। বাউলের গানগুলি তার উপর সোনার. ফসলের বীজ ছড়িয়ে দিল। ভবিষ্যতের বিশ্বকবি তদানীন্তন বাংলা সাহিত্যের দোষগুণ বিচার করে গানগুলির সমালোচনা-প্রমঙ্গে লিখলেন চারিদিক দেখিয়া শুনিয়| আমাদের মনে হয় যে, বাঙ্গালী জাতির যথার্থ ভাষাটি যে কি, তাহা আমরা সকলে ঠিক ধরিতে পারি নাই —atatal জাতির প্রাণের মধ্যে ভাবগুলি কিন্নপ আকারে অবস্থান করে, Stel আমরা ভাল জানি না। এই নিমিত্ত আধুনিক বাঙ্গালা ভাষায় সচরাচর যাহা কিছু লিখিত হইয়া থাকে, তাহার মধ্যে যেন ৭ ভারতী, বৈশাখ ১২৯০ | রবীন্দ-রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ, দ্বিতীয় খণ্ডে সংকলিত “বাউলের. গান", পৃ ১৩১-৩৭



Leave a Comment