যখন পুলিস ছিলাম [সংস্করণ-৩] | Jakhan Police Chilam [Ed. 3rd]

কিছুতেই মত দেবে না। আর তখনকার দিনে সতেরে! আঠারো বছরের ছেলে বায়োস্কোপ করে শুনলে লোকে আত্কে উঠতো। তারপর FT] ও অবজ্ঞার এমন একট! চাউনি দিতো যা aw করে সমাজে বাস করার চেয়ে জেল খাটা CHA মনে হতো | স্কুলে পড়বার সময়ে খাবারের পয়সা! জমিয়ে ভাবের অভিব্যক্তি তুলি। অনেক চেষ্টা ও পরিশ্রমের পর সেগুলো তখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক “সচিত্র শিশির”-এ ছাপা হয়। সেই হলে) একমাত্র ছাড়পত্র বা প্রশংসাপত্র। ম্যাডান কোম্পানিতে তখন পরিচালক জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বাংল৷ ছবি তুলছেন-- ‘ASITR | খবরটা অতিকষ্টে সংগ্রহ করে একদিন এ একমাত্র প্রশংসাপত্র “সচিত্র শিশির” সঙ্গে করে তার সঙ্গে দেখা করি। কি জানি কেন ছবিগুলে৷ দেখে তিনি তার ছবিতে একট বদমাশ চরিত্র বিনোদের ভূমিক] আমাকে দিলেন। চরিত্রটি যা বুঝিয়ে দিলেন তা হচ্ছে--বিনোদ অতি নীচ ও জঘন্য স্বভাবের যুবক। বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে সে ACM বন্ধু-সত্রীর উপর কদর্য দৃষ্টি দেয় ও কিসে তার সতী নাম Gora পাপের fea পথে টেনে আনবে, তারই চিন্তায় সর্বশক্তি নিয়োগ করে। বিনোদের সারা জীবনটাই এই ধরনের কার্যকলাপে পূর্ণ । শেষ পরিণতি দেখা যায়--একটা নিষ্পাপ সরলা বালিকা, যাকে যৌবনে বিনোদ প্রলোভনের ফাদ পেতে সর্বনাশের পথে টেনে এনেছিল, যার ফলে শেষ পযন্ত সে পাগল হয়ে যায়। সেই বালিকাই হঠাৎ একদিন অপ্রত্যাশিতভাবে ফিরে এসে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গার ধারে বিনোদকে একা পেয়ে তার চুল টেনে ধরে মাটিতে ফেলে তার বুকের উপর বসে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে পা ধরে টানতে টানতে গঙ্গার জলে ফেলে CHA | ভীষণ দমে গেলাম। প্রথম নেমেই এমন একটা চরিত্র ! বাব] A দূরের কথা, চেনাশোন|] কেউ যদি এ চরিত্রে আমাকে পর্দায় দেখে, তাহলে... । আর ভাববার সময় পেলাম না। জো্যোতিষবাবু বললেন, “এখনই ঠিক করে ফেলতে হবে। কাল থেকে স্থটিং। আপত্তি থাকে তো এখনই বলুন, স্টেজের অনেক অভিনেতা এ ভূমিকাটির ওপর aa দৃষ্টি দিয়ে বসে আছে ।' ৯১৩