প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস [খণ্ড-১] [দ্বিতীয় ভাগ] [সংস্করণ-১] | Prachya O Pashchatya Darshaner Itihas [Vol. 1] [Part 2] [Ed. 1st]

প্রাচ্য ও পাশ্চ।ত্ দর্শনের ইতিহাস হইলে রচযিত্বগণের নাম অবরকালীন সমাজের জানা afew Pe আজও যেমন দেখা যায় তেমন ভাবেই অনাদিকাল হইতে বেদসমূহ গুরুশিয্য-পরম্পরায বিধৃত হইয়া আসিযাছে Pe কাগ, কাঠক প্রভৃতি শাখাসমূহের নামগুলির তত্তৎশাখা-প্রবর্তক নামের আচার্যগণের উপদেশের উপর ভিত্তি করিযাই দেওয়া হইয়াছে ।১৬ বৈদিক গ্রন্থসমুহে এবং লৌকিক ভাযায় শব্দ একই । কুমারিলের মতাহসারে শব্দসমূহ অভিধা-শক্তির দ্বারাই নিজেদের অর্থ প্রকাশ করে এবং আকাঙ্ক্ষা, যোগ্যতা, সম্নিধি, শাক্দবোধ--যেগুলি বাক্যে পদার্থের পারস্পরিক সম্বন্ধকে উপস্থাপিত করে-_ সেইগুলিই পদার্থ-স্বতির উৎস। ইহাই ভাট্টর-সম্প্রদায়ের অভিহিতাম্বযবাদ 1১৭ বাক্যার্থের বোধেব পক্ষে শব্দের প্রযোজনীয়তাৰ উপর বিশেষ গুরুত্ব আবোপ কবে অস্বিতাভিধানবাদ। প্রাভাকর সম্প্রদায় এই মতবাদের পোষক। আকাঙ্ক্ষা, যোগ্যতা ও সন্নিধির বলে শুধুমাত্র শব্দসাহচর্যের দ্বারা প্রথমে অস্বিতার্থসমূহের এবং তাহাব পর অস্বিতপদার্থসমূহের স্মৃতি ae seal থাকে। পদার্থ-স্থৃতি হইতে উৎপন্ন শাব্দবোধ ate (অর্থাৎ শব্দের উপর প্রতিষ্ঠিত নহে )--এইরূপ পূর্বপক্ষ কর হয়, কিন্তু পদার্থ স্মৃতির উপর নির্ভর করিয়া ‘steppes অর্থ ‘arate? গ্রহণ করিয়া অতিহিতাম্বযবাদিগণ এরূপ পূর্বপক্ষের খণ্ডন করিযা থাকেন ।১৮ যে WI কোনও দ্রব্য Yates তাহার প্রতীতির WE করে, অথচ সেই water ইন্দ্রিয়সংযোগরহিত হয, সেই সাদৃশ্তকেই “উপমান” বলা হয়।১৯ গব্য (গোঁসদৃশ ) নামক প্রাণিবিশেষে যে সাদৃশ্ত আমর! দেখি, তাহা হইতে “আমার গো এইটিব সদৃশ” এইরূপ জ্ঞানেব WE হয়, অথচ ইহা জ্ঞানেন্দ্রিয-নিরপেক্ষ । উপমানের এই লক্ষণ কিন্তু নৈয়াযিকগণের উপমান-লক্ষণের সহিত মেলে না। নৈযায়িকগণ বলেন, একটি জ্ঞাত এবং একটি অজ্ঞাত বস্তুর মধ্যে যে APY তাহাই উপমান এবং এ সাদৃশ্যই অজ্ঞাত বস্তুটির বোধক “ay শব্দের (aA গবয-পদ- বাচ্যঃ ) বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মৌল শক্তির জ্ঞানের ( শক্তি-গ্রহের ) জনক। নৈয়াষিক- গণের এই ব্যাখ্যা গ্রহণ করিলে উপমানকে GRIT হইতে পৃথক করা সম্ভব হয না। অহুমানের তিত্তির, অর্থাৎ ব্যাপ্তি-জ্ঞানের এখানে কোনও প্রযোজন নাই-_ এই কথা aan মীমাংসকগণ নিজেদের সমর্থন করিযা থাকেন।২" যখন কোনও বস্তুর সাহায্য ব্যতীত YB বা Fe uy বস্তুর অস্তিত্ব স্বীকার করা সম্ভব হয় না, অথচ যে বস্তুটির সাহায্য লওয়া হইতেছে তাহার অস্তিত্ব মানিয়৷ লইতে হয়, তখনই হয় “অর্থাপত্তি*। ২১ বাড়ীর বাহিরে দেবদত্ত আছে, এইরূপ আমরা যখন মনে করি, তখন ইহার তিত্তি হইল yew) প্রথমতঃ, বাড়ীর মধ্যে ৩২৪