আশুতোষ মুখোপাধ্যায় রচনাবলী [খন্ড-৪] | Ashutosh Mukhopadhyay Rachanavali [Vol. 4]

চোখে পড়ার মতই, কিন্তু সকলের পরার মত নয়। শুভেন্দু পরত, পরলে ওকে কেমন মানায় জেনেই পরত। বউদিরা অনেকদিন বলেছে, ওই বোতাম ছাড়া তোমাকে ন্যাড়া ATT দেখায়। তোমার জন্যেই দিদিশাশুড়ী ওটা তৈরি করিয়েছিলেন আসলে। চোখে ললিতা ডাট্‌-এরও পড়ত। কখনো আগে মুখের দিকে তাকাতো পরে বকের দিকে, কখনো বা আগে বুকের দিকে পরে মুখের দিকে। শুভেন্দু সেটা টের পেয়েছে বুঝে একদিন বলেছে, বোতাম-বাব্র বোতাম ক'টা বেশ ওজনে ভারী বলে মনে হয়, পেলে কাজ হত--আ্যাসোসিয়েশানের এখন অনেক টাকার দরকার। শুভেন্দু পটাপট বোতাম ক'টা খুলে নিয়ে তার হাতে দিয়েছে। আযাসোসিয়েশানের টাকা বা চাঁদা আলযেব ব্যাপারে এই মেয়ের চোখে পর্দা নেই জেনেও দিয়েছে। ললিতা যেন প্রাপ্য Peeps পেয়েছে। বোতাম হাতে নিযে কাককার্য পরখ করতে করতে বলেছে, পুরুষ মানুষের এর কোনো দরকার নেই, অথচ আমাদের খুব কাছে লাগবে। ধন্যবাদ। কিন্তু কাজে লাগেনি। পরদিন আর তার পরদিনও ওর মুখের থেকে ব্‌কের দক আর কুকের থেকে মুখের দিকে চোখ গেছে ললিতার। শেষে বোতাম ক'টা এনে আবার তার দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে, আপনার কাছেই রাখুন এটা, কাউকে নিরাভরণ করার ইচ্ছে নেই। কেন ফেরত দিচ্ছে শুভেন্দু অনুমান কবতে ATA আনন্দের আভাস গোপন করতে চেষ্টা করেছে, বলেছে, কেন পুরুষ মানুষের এই ঝিনুকের বোতামই তো বেশ-- অচ্ছা, AT দেখি কোন্টা বেশ, তারপর বিবেচনা করব। তকে দেখবাল জন্যেই যেন ঝিনুকের বোতাম খুলে ওই বোতাম পরা শুভেন্দুর। ললিতা দেখেছে, দেখে অবিবেচনাও করতে পারেনি। বড় করে নিঃশ্বাস ফেলে রায় দিয়েছে, না এটাই বেশ...বোতাম ফেরত দিয়েছি জানতে পেলে আযাসোসিয়েশান এবার তাড়াবে আমাকে। শুভেন্দু চিস্তিত মুখে fern করেছে, কাঞ্চনমুল্য ধরে দেব তাহলে ? পাবেন কোথায়? ...বেকার মানুষেরা অবশ্য বাবার কাঞ্চন কাচের মতই দেখে শুনেছি। মিস্টার SRE বা বোতাম-বাবু তেমন অপছন্দ হয়নি শুভেন্দুর, কিন্তু ননীগোপাল পছন্দ নয়। তাও মুখে নয়, একেবারে রিসিটের ওপর। সঙ্গীদের সঙ্গে পরামর্শ করে সেও লিখেই প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছিল একটা। তাতে সম্ভায়ণ করেছিল, ললিতাসখি। PACA প্রত্যাশায় ছিল কয়েকটা দিন। জবাব মেলেনি। অতএব ACCT প্রতীক্ষায় ছিল। সুযোগ মিলেছে। নিরিবিলি রাস্তায় মোটর বাইকের শব্দে অনেক দূর থেকে ললিতা ডাট্‌ ঘুরে দাড়িয়েছিল। fare পরক্ষণে চকিত SIT ছায়া পড়েছে মুখে। যে ভাবে সরাসরি %