নিচুতলার চিত্রকলা | Nichutalar Chitrakala

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
চকিতে সামনে এসে দাড়ায় একটি ট্যাকসি, “এই যে দাদা, এখানে ওষুধের দোকানটা কোথায় বলতে পারেন, মেডিকেল শপ 7’ — ট্যাকসির ভিউফাইনডার গ্লাস নেমে গেছে অতলে | ভকৃ-ভক্‌ করে মদের গন্ধ, 'ওটা 7” মেয়েটি বলে ওঠে, “এই যে দেখুন না-এরা আমাকে তুলে নিয়ে যেতে চাইছে' — সে কথায় কারো কিছু যায় আসে না। ট্যাক্সি উড়ে যায় মাছির মতো | কিন্ত ধন্ডাধস্তি-চিৎকার-চেঁচামেচিতে শেয়ালদা স্টেশনের দিক থেকে কয়েকজন হাঘরে দৌড়ে আসে, কী হলো-কী-?-কী হলো- কী হলো ? মেয়েটির পক্ষ নিল বুঝি ঝড়ের মতো নয়ছয় চলল, কেউ থাকল | তারই মাঝে একজনের মাথা ফেটে কিছুটা রক্ত পড়ল মাটিতে । শুধু শুধু অপচয়! রেল পুলিশ আসতেই দৌড়াদৌড়ি সব CS] | কোনদিকে ফাকা হয়ে গেল | তখনই বামি বমি করছে | তার মা ফিরে এল ৷ মাতাল কনস্টেবলটা ছেড়ে দিয়ে গেছে আগে | মেয়েকে বমি করতে দেখে বিলক্ষণ কু গাইল তার মন | তরসতরি সে বলে উঠল, “ছিনাল মাগী, কোথায় ঢলাতে গেছিলি - কে করল, এই দশা ?' মেয়েটি আকাশ-পাথর-জল একসঙ্গে, ঘাস-মাটি-পৃথিবী আর জগতের গর্ভস্থিত সম্পদমাল। যেন বমির মতো উগরে দিচ্ছে | 'আমি থাকি সাবধান সতর্কে, তুই কিনা সেই:---বল্‌ না লো কে? কোন্‌ হারামজাদা ?' হলুদ নীল লাল পাঁচ রকমের জল নেমে আসছে মেয়েটির অস্ত্র থেকে | সে কী বলবে | জীবনের এখানে কোনো পুথক TH নেই। ভাগোয়ান ভাইটি তার ধুম থেকে CHAS অকাতরে পড়ে-পড়ে ঘুম দিচ্ছে | দেবেই তো | সে জানে শিবরাত্রির দিন কনস্টেবলটি যখন তার মাকে তুলে নিয়ে তারকেশ্বরে শিব দেখাতে গেল তখন -এভাবেই তো সে কলা থায়। খোকা থাকে। হাতে পয়সা আসে | কিছুতেই সকাল হতে চায় না! শুধু আধার বদল হয় । এরপর চরাচরের বিচিত্র রূপ শুধু পৃথিবীর গায়ে একে-একে ধর পড়ে৷ সবকিছু একটি পরিপূর্ণ সকালের দিকে যেন ছুটে-ছুটে যায় : ১. মেয়েটি ফিরে যাচ্ছে তার ঘরে ৷ দরে পোষায়নি | মা তাকে মুখ ঝামটা ৮



Leave a Comment