সাহিত্য গল্পসম্ভার | Sahitya Galposambhar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
BAAS দ্বিজেন্দ্রলালের মতো তিনিও নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। বেলা শেষের রচনায কবিকে প্রাপা স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। WH প্রয়াত হন ১৩২৭-এর পৌষ মাসে। সাহিত্য অবশ্য বন্ধ হয়নি। পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদনায় ১৩৩০-এর বৈশাখ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে। সুরেশ-প্রয়াণের পর সাহিত্যের ফাল্গুন-চৈত্র (১৩২৭) সংখ্যায় প্রয়াত সম্পাদকের কর্মধারার, তার দক্ষতা-বিচক্ষণতার যথার্থ মূল্যয়ন করেন অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। অক্ষয়কুমারের মূল্যায়নে আবেগ রযেছে সত্য, যুক্তিও কম নেই। তার সেই সুরেশ-মূল্যায়নের প্রাসঙ্গিক অংশটুকু উদ্ধৃত করা যেতে পারে। তিনি লিখেছেন, “প্রবন্ধ নির্বাচনের কড়াকড়ি 'সাহিত্য'কে এই অসাধারণ গৌরব দান করিয়াছিল। এখন লেখকের সংখ্যা অসংখ্য, বুঝি বা পাঠকের সংখ্যা অপেক্ষা অধিক। এমন দিনে যে কেহ লিখিতেছেন, যাহা ইচ্ছা লিখিতেছেন, বিষয় বিন্যাসে ও বচনবিন্যাসে দ্বেচ্ছাচার সমানভাবে প্রশ্রয় লাভ করিতেছে। এমন দিনে প্রবন্ধ নির্বাচন করা যে কত কঠিন, তাহা সাহিত্য সম্পাদককে সর্বদা স্বীকার করিতে হইত। তথাপি দৃঢ়তা তাহার রক্ষাকবচ ছিল।... বিদেশের সাহিত্যে যাহা কিছু ভালো বাহির হইত, বিদেশি বর্জনের তুমুল আন্দোলনের দিনেও, তাহা সাদরে সাহিত্য স্থান লাভ করিত... সাহিত্যকে অনাবিল রসের আধার করিবার আত্তরিক আকুলতাই সাহিত্য- সম্পাদককে সমালোচনায় AP, ক্ষমাশূন্য কশাঘাত প্রকাশ কবিতে অভ্যস্ত করিয়া তুলিয়াছিল ।' পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন অভিজ্ঞ ও দক্ষ সম্পাদক। বঙ্গবাসী যেমন এক সময় সম্পাদনা করেছেন, তেমনই বিপরীত আদর্শ, বিপরীত মতের ও পথেব পত্রিকা বসুমতীও সম্পাদনা করেছেন। তার কাজে ছিল পেশাদাবি দক্ষতা। সুরেশচন্দ্র সুদীর্ঘকাল ধবে সাহিত্যের যে চরিত্রটি তৈরি করেছিলেন, তা দক্ষ হাতে রক্ষা করেছিলেন তিনি। পৌষ-মাঘ, ১৩২৭ সংখ্যায় 'আমার কথা' শীর্ষক রচনায় তিনি লিখেছিলেন, 'জানি না এভার বহ্‌নের যোগ্যতা আমার আছে কিনা, -__আমি সুরেশের সাহিত্য পত্রকে নিষ্কলঙ্ক ও নিরাবিলভাবে রক্ষা করিতে পাবিব কি না!” সন্দেহ নেই যে, এই কাজটি তিনি পরম দক্ষতায় ও সুগভীর নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন। সুরেশহীন সাহিতো হারানো সুরের রেশ আশ্চর্য দক্ষতায় ধরে রেখেছিলেন পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য পত্রিকা থেকে গল্প সংকলনের এই প্রয়াসের মধ্য দিয়ে বাংলা গল্পের সূচনাপর্বটি সম্পর্বে সম্যক ধারণা করা যাবে। রবীন্দ্র-পরিমগুলের বাইরে দাঁড়িয়ে যারা লিখেছেন, তংকালে খ্যাতি পেলেও বর্তমানে তারা অনেকেই বিস্মৃত, তাদের সম্পর্কেও প্রাথমিক ধারণা লাভ কবা যাবে। বাগবাজার রিডিং লাইব্রেরি, উত্তরপাড়া জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরি, চন্দননগর পুস্তকাগার ও বীশবেড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরির সঙ্গে যুক্ত সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদেব সহযোগিতা ছাড়াও অশোককুমাব রায়ের সহযোগিতা কৃতজ্ঞচিত্তে স্যরণ করি। সংকলিত গল্পগুলির বানান পুরোপুরি না-হলেও অনেকাংশে আধুনিক করা হয়েছে। পত্রভারতীর কর্ণধাব ও কিশোর ভারতীর সম্পাদক সুলেখক ব্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় বইটি TZ করে প্রকাশ করলেন। তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। পত্র ভারতীর কর্মীবন্ধুদের সহযোগিতা ভোলার নয। তাঁদের ধনাবাদ। পার্থতিৎ গঙ্গোপাধ্যায়



Leave a Comment