আমার কাল আমার দেশ | Amar Kal Amar Desh

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
যাই হোক, এই সাউথ সুবার্বন স্কুলটি হরিশ পার্কের গায়ে লাগানো | আমি এই স্কুলে ভতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে হল যে জলের মাছ Lista এসে পড়লাম। অর্থাৎ আমি তখন সেকেওগ্ড ক্লাসে পড়ি--আমাদের ক্লাসের সব ছেলেই কলকাতার। পুরুলিয়া থেকে এসেছি বলে ক্লাসের ছেলেরা আমায় 'বাঙাল” বলে নানারকম টিটকারী দিত যদিও আমার জন্মস্থান হল পশ্চিমবঙ্গে । এবং নেই টিটকারীর বহর আমাকে সহ্‌ করতে হয়েছিল । এখানে বলা দরকার যে তখন শেয়ালদা স্টেশনে নামলেই সকলকে “বাঙাল” বলে পরিচিত হতে হত । কিন্তু আমি পুরুলিয়া থেকে হাওড়ায় এসে নামলেও এই “বাঙাল” আখ্যা থেকে আমি পরিত্রাণ পেলাম না। কলকাতার স্কুলে ভতি হওয়ার পর তিনটি জিনিসের পরিবেশ আমার খুব ভালো লাগলো ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলা দেখা এবং স্বদেশী আন্দোলনের নানারকম পরিস্থিতি। এই সময়ে এই তিনটি জিনিসের মধ্যে আমি হাবুডুবু খেতে লাগলাম I ক্রিকেট খেলার কথা বলতে গেলে উল্লেখ করতে হয় মহারাজা অফ, নাটোরম ইলেভেন, মহারাজা অফ কুচবিহারস্‌ ইলেভেন, ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব এবং ইউরোপীয়ানদের বালিগঞ্জে ক্রিকেট ক্লাব। এই চারটি ক্লাবই কলকাতায় তখন সেরা ক্রিকেট টাম ছিল । আমরা দল বেঁধে সবাই ইডেন গার্ডেনসে বা অন্যত্র এই দলগুলির খেলা দেখে শীতকালটা কাটিয়ে দিতাম। এই সময় আর একটি উৎসব গড়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল-_ সেটি হলো “লেডী মিন্টো ফ্যান্সী CHR’ 1 তৎকালীন ভাইসরয়পত্নী লেডী মিন্টো aes নার্সদের সাহায্যকল্পে এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিল ফুটবল প্রতিযোগিতা। এই উৎসব হ'তে যে টাকা উঠতো তা নার্সদের উন্নতিকল্পে ব্যয় করা হ'ত । তথনকার কালে সমস্ত দেশের মধ্যে ক্যালকাটা ফুটবল ক্লাব ছিল সাহেবদের মধ্যে দুর্ধর্ষ ও সর্বতেষ্ঠ ফুটবল দল। এই প্রতিযোগিতায় ১০



Leave a Comment