For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)[ tee ] ভারতীয় স্থাপত্য ইতিহাসের বিষয়ে এত কথার অবতারণা করিলাম
এইজন্য যে, এ গ্রদ্থের পাঠকের পক্ষে নিজের দেশের প্রাচীন গঁতিহ্ সম্পর্কে
অবহিত হওয়া প্রয়োজন বলিয়া মনে করি । সেই প্রাচীন বাস্ত-শাস্ত্রের সহিত
আমাদের যোগস্থত্র আজ ছিন্ন, তবু আমরা তাহাদ্বেরই বংশধর । তারতবর্ষ
যুগে যুগে বৈদেশিক সংস্কৃতিকে জীর্ণ করিয়| নব রূপ দিয়াছে | স্মতরাং বর্তমান
যুগেও তাহার ব্যতিক্রম হইবে কেন? যেভাবে অনার্যগণ até Briss
গ্রহণ করিয়াছে, যেভাবে বিশ্বকর্মা মনশার ময়মতের সহিত
মিশ্রিত হইয়াছে, হিন্দু ও মুশলিম স্থাপত্য যেভাবে মিলিত
হইয়াছে, সেইরূপেই আজ পাশ্চাত্ত্যের “মডাণ্ আর্কিটেক্চায়* ও “সিভিল
ইঞ্জিনিয়ারিং' বিদ্তাকে আমরা আমাদের ভারতীয় বাতাবরণে রূপান্তরিত করিয়া
গ্রহণ করিব |
বাংলা ভাষায় ইতিপূর্বে বাস্ত-বিদ্য! বিষয়ে যে সকল গ্রন্থ প্রকাশিত হইয়াছে,
আমি সেগুলির agra করিয়াছি। এই গ্রন্বগুলির অধিকাংশই getty,
-_-অনেকগুলি আমাদের জাতায় গ্রন্থাগারেও নাই। গ্রন্বকারগণের বংশধরেরা
সেগুলি স্বতিঠিহ্ৃম্বরূপ রাখিয়াছেন। আশ্চর্যের কথা, গত ব্রিশ-পঁয়ত্রিশ
বৎসরের ভিতর প্রকাশিত একটি গ্রন্থেরও আমি সন্ধান পাই নাই । তদপেক্ষা
বিস্ময়ের কথা, বাংল] ভাষায় বাস্ত-বিজ্ঞান বিষয়ক প্রথম গ্রন্থ রচিত হয় ১৮৪১
খ্রীষ্টাক্দে এবং উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম পাদ পর্যন্ত অনেকগুলি গ্রন্থেরই সন্ধান
পাওয়া যায়। এ-কথ। অনস্বীকার্য যে, ভবিষ্যতে একদিন বাস্ত-বিদ্য! বিষয়ক
প্রামাণিক গ্রন্থ বাংল ভাষায় লিখিত ও পঠিত হইবে; কিন্তু সেদিন হয়তে৷ এ
পথের পথিক্বৎদিগের কোনও ইতিহাস আর খুঁজিয়া ten
যাইবে না। এরূপ একটি ধারাবাহিক ইতিহাসের সন্ধান
করিতে হইলে যে ব্যাপক ব্যবস্থার প্রয়োজন-_-বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গীয় সাহিত্য
পরিষদ্, ইন্স্টিটাট-অফ-ইঞ্জিনিয়াস, অন্ততঃপক্ষে, বি. ই. কলেজ এ্যালামনি
ংগ্রেসের হ্যায় কোন একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই তাহা] করা ATI, তবু
উপযুক্ত কেহ অগ্রসর না হওয়ায়, আমার একক প্রচেষ্টায় আমি যেটুকু সংবাদ
সংগ্রহ করিয়াছি, উত্তরকালের উদ্দেশ্যে কালাঙ্গক্রমিক সেই অসম্পূর্ণ ইতিহাস
এস্থলে লিপিবদ্ধ করিলাম । কোন সম্বদয় পাঠক এ বিষয়ে কোন নূতন
আলোকপাত করিলে চিন্নকতজ্ঞ থাকিব । এ গ্রন্থের কোনদিন দ্বিতীয় সংস্করণ
প্রকাশিত হইলে, পূর্ণতর ইতিহাস সংযোজিত sface পারিব।
বাংল] ভাষায় ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের সন্ধান-পাইতেছি বর্তমান যুগ ॥ পূর্বাচার্যগণ ॥