বাংলার সাধক [খণ্ড-২] | Banglar Sadhak [Vol. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
চলাফেরা করে। ক্ষুদিরাম রঘুবীরের পূজায় মগ্ন । ' ইতিমধ্যে ছোট্ট গদাধর ঠাকুরঘরে ঢুকে চন্দন সারা গায়ে মেখে রঘুবীরকে দেবার মালাটি গলায় পরে পিতার অন্থকরণে ধ্যানমগ্ন হয়ে বসে রইলো | অনির্বচনীয় এক রূপ ধারণ করলেন enh রামকৃষ্ণ। অক্স্মাৎ পুত্রের এই দিব্যরূপ দর্শন করে দিব্যভাবের ভাবুক ক্ষুদিরাম হলেন মুগ্ধ । বিস্মিত। অভিভূত। আধো আধো ভাষায় শিশু গদাধর বলছেন, দেখো! বাবা আমি রথুবীর carafe | রাগ করবেন কি ; আদর কবে পুত্রকে কোলে তুলে নিলেন ক্ষুদিরাম। আত্মভোল শিশুর মাঝে যে বাসা বেঁধেছেন fate ভোলানাথ। পাঁচ বছরের শিশু গদাধর বই বগলে STA এসে উঠলো লাহাবাবুদের পাঠশালায়। লেখাপড়া করতে নয়, সহপাঠীদের সঙ্গে আনন্দ করতে । লেখাপড়ায় মন ছিল না গদাধরের | পড়! বলতে বললেই মুশকিল | স্তোত্র, প্রণাম দাও মুখস্থ বলে দেবে। তালপাতায় ঠাকুরের নাম লিখতে দাও লিখে দেবে। কিন্তু acs আতঙ্ক। ভজন কীর্তন আর কথকতা করে ধীরে ধীরে সে সকলেরই প্রিয় হয়ে উঠলে । বালকদের যাত্রাগানের শিক্ষাগুরূ ও সঙঈ্গীতাচার্য ছিল বালক্‌ গদাধর। স্বভাবে চঞ্চল হলেও তার মধ্যে ভাবতন্ময়তাও ছিল । একদিন নির্জন প্রাম্তরের মধ্য দিয়ে চলতে চলতে হঠাৎ আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে বালক গদাধর শুভ্র বলাকার মালা ভেসে চলেছে অসীমের পথে। বলাকাদের যাত্রা, আকাশের বিশালতা আর প্রকৃতির নিস্তব্ধতা তার অন্তরের we চৈতন্যকে তুললো জাগিয়ে । ভাবাবেশে বিভোর হয়ে মুছিত হয়ে পড়লো গদাধর | আত্মভোলা গদাধরকে নিয়ে চিস্তিত হলেন মাতা চন্দ্রমণি। শৈশবেই পিতৃহারা হলো গদাধর। যখন তার বয়স মাত্র সাত বংসর। বাবা নেই সবই যেন শূন্য। মন বসে না কিছুতে । YA বেড়ায় ভূতির খালের শ্মশানে। পিতার মৃত্যুর ছুই বংসর পর গদাধরের উপনয়ন সংস্কার হলে সম্পন্ন | ১৬



Leave a Comment