প্রেমযোগিনী আনন্দময়ী মা [সংস্করণ-২] | Paramjogini Aanandamoyee Ma [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সেই অনতিবিস্তার জলরাশি-_পরবর্তী যুগে যার নাম হয়েছে মানস সরোবর | তুষারের পটভূমিতে যার হৃদয়ের উপর আজও ফোটে শ্বেত ও রক্তকমল | মানস সরোবরের তীরে তাঁবু খাটানে হলো FS স্থান! যেমন বিপদ-সন্কুল, তেমনই মনোরম। চারিদিকে নানা রঙের পর্বতমালায় Aas আর পাদদেশে সরোবর প্রবাহিত । এই সরোবরের জলে স্নান করেই ভাইজীর অবধৃত ভাব হয়। BS সন্ন্যাসীর ভাব। চীংকার করে বলে ওঠেন পেয়েছি, পেয়েছি, পেয়েছি। মা, আমি সন্ন্যাসমন্ত্র পেয়ে গেছি। তারপর ছুটে এসে মায়ের চরণকমলে পড়ে গেলেন । ভাবে গদগদ হয়ে অনেকক্ষণ মায়ের চরণ আশ্রয় করে পড়ে রইলেন । অবশেষে গলার পৈতা, হার মায়ের Alpaca সমর্পণ করে মন্ত্র জপ করতে লাগলেন। এবং মৌন থাকবার ইচ্ছা মাকে জানালেন। মা আনন্দময়ী তখন তার সন্ন্যাস নাম দিলেন “মৌনানন্দ পর্বত । ভক্ত জ্যোতিযচন্দ্র, ভাইজী-_ইহলেন চিরসন্ন্যাসী মৌনানন্দ পর্বত । ভাইজীর সাধনায় হলো সিদ্ধিলাভ। অনির্বচনীয় আনন্দ পরম শান্তি ayer করতে লাগলেন মনে মনে | এই স্থানে ভোলানাথও শরীল্রীমায়ের নিকট হতে ARITA নিয়ে তিব্বতানন্দ তীর্থ নাম গ্রহণ করেন। | af ae আবার যাত্রা হলো SS) কৈলাসের পথে। তিন দিনের পথ। কিছুদূর অগ্রসর হয়ে অকস্মাৎ মা আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে উঠলেন, এ যে--এ যে- কৈলাসের চূড়া” কৈলাস পর্বত। ভক্তরা সকলেই অভিভূত হয়ে দেখতে লাগলেন কৈলাসের PU | বরফের মন্দিরের মত চোখের সামনে প্রতিভাত হয়ে উঠলো কৈলাস পর্বত। সাধু, সন্ন্যাসী, তপস্বী-তপন্বিনীর চিরবিশ্ময়, হর-পার্বতীর তপস্তালোক--আনন্দ ও শান্তির লীলাক্ষেত্র সেই কৈলাস যোগতন্দ্রাচ্ছন্ন মহাদেবের জটাজটিল খ্যানমৌন মহাস্থবির আত্মসমাহিত সেই অভাবনীয় মুতি নয়নগোচর ৫



Leave a Comment