এখানে ওখানে | Ekhane Okhane

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ এখানে ওখানে মা তো প্রতিদিনই আবেদন-নিবেদন করে চলেছেন, কিছু আশীর্বাদ পেয়েছেন কি না তা তো জানা যায়নি। বিপুল সৌভাগ্যের দ্বার bre at হলেও কর্মক্ষেত্রে আমি নিতাস্ত দুর্ভাগ্য নই। কোনোরকমে বেঁচে থাকার মতো একটা চাকরি আমি যোগাড় করেছি এবং আরও কিছু বাড়তি মাইনে পেয়ে পুরনো চাকরি ছেড়ে নতুন সুযোগের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছি। মা এই নিরস্তর সুযোগসন্ধানে চিন্তিত হলেও আমাকে বাধা দিতেন না। তিনি শুধ্‌ বলতেন, “এমনভাবে যাবে যে পুরনো জায়গাতেও তোমার জন্যে ভালবাসা থাকে। তাঁরা যেন বোঝেন, সংসারের জন্যে বাধ্য হয়েই তোমাকে নতুন জায়গায় যেতে হলো ।” মায়ের এই উপদেশ আমি সমস্ত জীবন ধরে অক্ষরে-অক্ষরে পালন করেছি। প্রয়োজনের তাগিদে আমাকে অনেকবার চাকরি পাল্টাতে হয়েছে, কিনতু সর্বত্র আমি THY রেখে এসেছি । এইভাবে বহু মানুষের স্রীতিলাভের সৌভাগ্যও অর্জন করেছি। কাজের মধ্যে থেকে-থেকে আমি এই বিশ্বসংসারের বিচিত্র রূপের সঙ্গে কিছুটা পরিচিত. হয়েছি। সেই সব অভিজ্ঞতার কাহিনীই তো এতোদিন ধরে বিভিন্ন বইতে লিখে চলেছি। কিন্তু যা এখনও বলা হয়নি তা হলো মিসেস আইলীন রায়ের কথা | এই ইংরেজ মহিলা গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারের কাজে জড়িত ছিলেন 1 তখন গোলপার্কের কেন্দ্র সৃষ্টি হয়নি, অফিস ছিল রসা রোডের ছোট্ট একটি বাড়িতে । আমি তখন চাকরির বাইরে কিছু সময় ওখানেই ব্যয় করতাম | ছোটবেলার কোনো স্বপ্নই তো সম্ভব হলো না, তাই, GSS সাধু ও সঙ্জনের সান্নিধ্যে কিছু সময় কাটুক ' ইনস্টিটিউটের পত্রিকার দায়িত্ব ছিল আইলীন রায়ের ওপর ৷ সেখানেই ছুটির দিনে চলে আসতাম কিছু কাজ করার নেশায়! মিসেস রায়ের সঙ্গে দিনের পর দিন দেখা হতো, তিনি একমনে নিজের কার্ড করে যেতেন এবং আমাকেও কাজের নির্দেশ দিতেন! তারপর একদিন তিনি আমাকে বললেন, “তোমার একটা ডিগ্রি প্রয়োজন শংকর আমি যে-দেশে জন্মেছিলাম সে-দেশে ডিগ্রি নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই কিন্তু তুমি যেখানে জন্মেছো সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপ না থাকলে সারাজীবন অযৎ অপমান AY করতে হবে।” আমি তো আই.-এ পাসের পর কলেজে না গেলেও জ্ঞানচর্চা বন্ধ কয়িনি। কি মিসেস রায় বললেন, “পড়াশোনা এবং বি-এ পাস এরু জিনিস নয়। "বিদ্যার ae হলেও সীলমোহরের অভাবে এদেশে মানুষ সারাজীবন কষ্ট পায়।” . এর পর RoR রায় পরামর্শ দিয়েছিলেন, “তোমাকে ছাড়াও এখানকার কা



Leave a Comment