মনজঙ্গল | Manjangal

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১০ মনোডভূমি মাধুরী, তুমি বিশ্বাস করে বসেছিলে আমি তোমাকে কোনোদিন বিপদে ফেলবো৷ না। অপরকে অতিক্রম না করে পরস্পরের সমস্ত লজ্জাকে আবরণ করাই তো স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য | তখন একদিন আমি রসিকতা করেছিলাম, “ata গল্প লেখক তারা জীবনের কোনে অভিজ্ঞতাই প্রাণ ধরে অপচয় করতে পারে না। সব অভিজ্ঞতাই মেখে নিয়ে wary পুর হিসেবে মিশিয়ে দেয় কোনে গল্পে অথবা উপন্যাসের কাহিনীতে | মাধুরী, তখন আমিই তোমাকে ছেলেমানুযী করে বলেছিলাম, “ঠিক আছে, আমাদের বিবহের স্থবর্ণজয়জ্তীতে 'যুগলজীবন, বলে একটা উপন্যাস লিখে ফেলবো এবং সেখানে সব গোপন কথা ফাঁস করা যাবে | মাধুরী, তখন তুমি এমনভাবে বাঁকা চোখে আমার দিকে তাকিয়েছিলে ! কেন যে তখন হাতের গোড়ায় একটা ক্যামেরা ছিল না-_বিরক্ত প্রয়সীর সেই AAV দেখবার GD TAT) আজ ব্যাকুল হয়ে উঠছে ৷ তুমি তখন ৩€কটাও কথা বলছে না. চিৎকার করছো না, প্রতিবাদ জানাচ্ছো না, অথচ তোমার চোখ মুখ আমাকে বলছে, পঞ্চাশ বছর পরেও এমল ফাস হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে জানলে তুমি কিছুতেই সেদিন মঠে যেতে না, গেলেও একই পাবলিকবাহনে aware পেরিয়ে আমার সঙ্গে শহরে ফিরতে না | মাধুরী, তোমার saat আমি এই জন্মদিনে বারবাঁর দেখতে অভ্যস্ত ছিলাম। sf তো ইচ্ছে করলে আজকেও আবার হাসতে পারতে ৷ আমাদের যুগলজীবনের স্মুবর্ণজয়স্তী তো আসবে না। তাছাড়৷ শামি তো “AGA বলে কোনো উপন্যাস লিখবোই না। না, মামি কিছুতেই আমাদের দামস্পত্যসম্পর্ক সম্বন্ধে বই লিখবো না, আমার সে-থধিকার চিরদিনের ary নষ্ট হয়ে গিয়েছে | মাধুরী, তুমি বিশ্বাস করো, লেখা সম্বন্ধে, সাহিত্য সম্বন্ধে আমার মতামত, ধ্যানধারণা সব পরিবর্তন করে ফেলেছি। তোমার সঙ্গে এ-বিষয়ে একান্ত আলোচনা না করেই আমি এই লেখক-জীবন সম্বদ্ধে অনেকগুলো সর্বনাশা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি | মাধুরী, এক এক সময় ভাবি সাহিত্য থেকে স্বেচ্ছানিরববালনে যাবো আমি । এই যে সমাজে মানব-মানবীর জট্রিল সম্পর্ক, এসব নিয়ে শত শত বছর পরে অনেক ঘাটাঘাটি হয়েছে, asa কিছু বলার নেই কারুর | মানুষ এবার গল্প লেখা বন্ধ করে দিক ৷ যা গল্প মজুত হয়ে আছে তার একটা জীবনের পক্ষে যথেষ্ট।



Leave a Comment