বঙ্কিমচন্দ্রের চন্দ্রশেখর [সংস্করণ-৩] | Bankimchandrer Chandrashekhar [Ed. 3]

( ae ) দায়িত্বের কথা ভুলিতে পারেন নাই। “যে জ্ঞান তত্ত্ব মাত্র, যে rt OF তর্ক ata, এবং যে কাব্য আর্ট মাত্র, বন্কিম তাহাকে বরণ করেন নাই--বুঝিতেন না বলিয় ময়, তিনি তাহা চান নাই, তাহার প্রাণ নিষেধ করিয়াছে।” সেইজসন্তই তিনি আশা- ভঙ্গের মনস্তাপ ও অপমানের মধ্যে উপস্তাস শেষ না shea তাহাতে এক নুতন পর্য্যায় সন্নিবেশ করিলেন। শৈবলিনীর প্রায়শ্চিত্ত মেই নুতন পর্যায়ের বিধয়বস্ত। শৈবলিনীর প্রায়শ্চিত্ত সম্বন্ধে আলোচনা করিবার পুর্বে চন্দ্রশেখর উপস্তাসে বঙ্কিমের উপস্থাপিত পারিবারিক arora স্বরূপট ভাল করিয়| বুঝিয়৷ লওয়া প্রয়োজন ৷ fare ও কষ্ণকাস্তের উইল এই ছুইখানি সামাজিক উপস্তাসে তিনি দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন পত্নীর পাতিত্রত্য ও প্রেম বিপথগামী স্বামীকে একদিন না একদিন ফিরাইয়া আমিয়াছিল; দাম্পত্য eis, স্বামী-স্ত্রী সম্বন্ধবের উৎকর্ষ এইখানেই | একজনের পতন বা পদস্থলন হইলেই দম্পতির সম্বন্ধ একেবারে বিচ্ছিন্ন হইয়া] যায় al শৈবলিনী অপরাধ করিয়াছিল, কিন্তু স্বামী যদি এ অপরাধ ক্ষমা না করে তবে কে করিবে? আর শখৃংধর্ম সকলের চেয়ে বড়, এই of Bq হইলে অকল্যাণ হয়, সামাজিক সমস্ত বন্ধনের মূলে এই গৃহধর্ণ। প্রয়োজন হইলে বছর কল্যাণের cya ব্যক্তিগত বাসনা ও আকাঙ্ক্ষা! বিসর্জন দিতে হয়। বাল্য প্লণয়কে দাম্পত্য AKT উপর স্থান দেওয়া চলিবে না। চন্দ্রশেখর উপস্তাসের গল্পের মধ্য দিয়! এই সমস্যাটির সমাধান দেখানো হইয়াছে । প্রায়শ্চিত্ত করিয়৷ শৈবলিনীর স্বামিগৃছে প্রত্যাবর্তনের সার্থকতা এইখানে | বন্কিমচন্দ্রের যুগে বিবাহিতা নারীর গৃহত্যাগ ae সাহিত্য রচনা করা অভাবনীয় ছিল ; afer সাহিত্যে আর একটি নারী অতৃপ্ত কামনার ater বুকে লইয়া গৃহত্যাগ করিয়াছে দেখিতে পাই। কিন্তু রোহিণীর গৃহত্যাগ স্থূল ভোগ- পরায়ণতার frei ; প্রেমের যে দীপ্ত রাগ শৈবলিনীর মনকে রাঙাইয়া তুলিয়াছিল রোহিণী চরিত্রে তাহার নিতাস্তই অভাব, রোহিণীর পরবস্তী জীবন তাহার প্রমাণ 1 কিন্তু শৈবলিনীর ভালবাসার অপরাধ কোথায় ? জ্ঞান হইবার পর হইতেই যাহাকে প্রাণ মন fea ভালবাসিত তাহার safe সে ত্যাগ করিবে কেমন করিয়া? কিন্ত fratfes নারীর পক্ষে কোনও অবস্থাতেই স্বামীর গৃহ হইতে বাহির ₹ইয়া যাওয়া সমর্থনযোগ্য নয়। সমাজের চক্ষে, বাহিরের লোকের চক্ষে এই অপরাধ গুরুতর | বিবাহিত জীবনের একটা দায়িত্ব আছে। বাল্য-প্রণয়ের স্বতি ধ্যান করিয়া যা নিজ হৃদয়ের সুখ ও তৃপ্তি খুঁজিয়া এই where এড়াইয়া গেলে সমাজবন্ধনই শিখিল হইয়া পড়ে, বৃহত্তর সামাজিক কল্যাণ ব্যাহত হয়।