রাধারাণী | Raj Singha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ x পদ্পলোচন বলিল, “তোমরা coat না 9” রাধা। না। om আঁমি বলি তোমাদের কুটুম্ব। আমি চিনিনা। যাহা হৌক, পদ্মলোচন চারি টাকার কাপড় আবার মায় মুনফাঁ আট টাকা সাড়ে চৌদ্দ আনায় বিক্রয় করিয়াছিলেন, আর অধিক কথা কহিবার প্রয়োজন নাই বিবেচনা করিয়া, প্রসম্নমনে দোকানে ফিরিয়া গেলেন | এ দিকে রাধারাণী, প্রাপ্ত টাকা ভাঙ্গাইয় মার পথ্যের উদ্যোগের জন্য বাজারে গেল । বাজার ক্রিয়া, তৈল আনিয়া প্রদীপ aia । মার জন্য যংকিঞ্চিং রন্ধন করিল। স্থান পরিষ্কার করিয়া, মাকে wa দিবে, এই আঁভপ্রায়ে ঘর ঝাঁটাইতে লাগিল । ঝাঁটাইতে একখানা কাগজ FEA পাইল-_-হাতে করিয়া তুলিল.--“এ কি মা !” মা দেখিয়া বলিলেন--“এক্খানা নোট 1” 'রাধারাণী বলিল, “তবে তিনি ফেলিয়া গিয়াছেন 1” মা বলিলেন, “211 তোমাকে দিয়া গিয়াছেন। দেখ, তোমার নাম লেখা আছে ।” রাধারাণী বড়ঘরের মেয়ে, একটু অক্ষরপরিচয় ছিল । সে পড়িয়। দেখিল, তাই বটে । লেখা আছে । রাধারাণী বলিল, “Si মা, এমন লোক কে মা ”” মা বলিলেন, “তাহার নামও নোটে লেখা আছে। পাছে কেহ চোরা নোট বলে, এই oy নাম fafa দিয় গিয়াছেন। তাহার নাম রুক্সিণীকুমার রায় ” . পরদিন মাতায় কন্যায়, রুক্মিণীকুমার রায়ের অনেক সন্ধান করিল। কিন্তু স্রীরামপুরে বা নিকটবস্তী কোন স্থানে রুক্মিণীকুমার রায় কেহ আছে, এমত কোন সন্ধান পাইল না। নোটখানি তাহারা ভাঙ্গাইল না--তুলিয়া রাখিল-_তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে | দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ রাধারাণীর মাতা পথ্য করিলেন বটে, কিন্তু সে রোগ 2ইতে মুক্তি পাওয়া, তাহার অদৃষ্টে ছিল না। তিনি অতিশয় ধনী ছিলেন, এখন অতি ছুঃখিনী হইয়াছিলেন, এই শারীরিক এবং মানসিক দ্বিবিধ কষ্ট, তাহার সহ হইল না ॥ রোগ ক্রমে বৃদ্ধি পাইয়া, তাহার শেষ কাল উপস্থিত হইল | Q



Leave a Comment