শ্রীরামকৃষ্ণ ও যুগধর্ম | Sriramkrishna O Yugadharma

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১২ শ্রীরামকৃষ্ণ ও যুগধর্ম যুগ যুগ ধরে তপস্যা করেন, আর যার একটু আভাস মাত্র পেলে জীবন ধন্য হয়ে যায়-_ কৃত-কৃতার্থতা বোধ করেন সাধক-_ সেই সমাধি তার আসছে, আর তিনি তাকে প্রতিরোধ করছেন। “মা! আমায় বেহুশ করিসনি। আমি ভক্তদের সাথে কথা বলব।” কেন? এই পরম অনুভব তার নিজের জন্য নয়। ভক্তদের দেবার জন্য। বলেছেন -_কেউ কেউ এসে খেয়ে মুখটি মুছে চলে যায়। তাদের দলে তিনি CAR তিনি সকলকে দেবার জন্য এসেছেন। নিজে খাবার জন্যে AT! তার WISI অনুধ্যান করতে বসে এই কথাটি বিশেষ করে আমরা চিন্তা করব, এই কথটি ভাবব। তাহলে আমরা অন্ততঃ কতকটা আভাসে ইঙ্গিতে বুঝতে পারব, শ্রীরামকৃষ্ণ অবতারের বৈশিষ্ট্য কোন্খানে | তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন। নিজের জন্যে কিছু রাখছেন না। এমন কি সমাধির আনন্দকে পর্যন্ত উপেক্ষা করছেন। যেহেতু তিনি এসেছেন জগৎ কল্যাণের জন্য, এই জগৎ কল্যাণে আবির্ভূত যুগপুরুষ তিনি, তাই সর্বভূতে ঈশ্বর দর্শনের সাধনাকেই যুগ-ধর্ম বলে ঘোষণা করে গেছেন। সর্বভৃতের অন্তরে তিনি নিত্য বিরাজমান। তাই তিনি বলছেন : কাঠে তার পুজা হয়, পাথরে তার পূজা হয়, আর মানুষে হয় না? সর্বজীবের ভেতরে যে তিনি আছেন, এই যে চির প্রসিদ্ধ কথাটি-_ আমরা তা বিস্মৃত হয়ে গেছি। শাশ্বত এই সত্যটিকে আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে, সেই পথে সকলকে প্রচালিত করবার জন্য বর্তমানে এই বিভ্রাস্তির যুগে এই হতাশা ও অবিশ্বাসের কালে শ্রীরামকৃষ্ণ দেহ ধারণ করে এসেছেন মানব-কল্যাণের প্রয়োজনে। আমরা নিজেরা ধন্য যে, এই সুবর্ণ যুগে আমরা জন্মাতে পেরেছি। তার মহান প্রভাব এখনও উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে চারিদিকে ; তিনি আমাদের সকলের মাঝখানে এখনো বিরাজমান আসুন তার কাছে প্রার্থনা করি: আমাদের এই যুগে জম্ম যেন সার্থক হয়, সকলেই আমরা যেন মুক্তি-পথের অভিযাত্রী হতে পারি। বহুজনহিতায় বহুজন-সুখায় আত্মনো মোক্ষার্থং জগন্ধিতায়-_ যুগগুরুর প্রদত্ত এই মহামন্ত্র অজপা গ্রহণ করে। * বলরাম মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণ শতবর্ষের আলোকে, পৃ. ৩৮৯-৪০০।



Leave a Comment