সমাজতাত্ত্বিক এমিল দুর্খায়েম | Samajtattwik Emile Durkheim

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রভাব বিস্তার করে। অর্থাৎ pelican কার্ল মার্কের মতই “বস্তুর' (8015) wera বিশ্বাসী, যদিও মার্সের সামাজিক বিশ্বের আলোচনায় যে সামগ্রিগতার, সমাজ সমগ্রের চিত্র পাওয়া যায় দুরায়েমের সমাজতত্তে তা পাওয়া যায় না। “মানুষ ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক, কতগুলি সামাজিক সম্পকের মধ্যে আসে যে সম্পর্কগুলো মানবনিরপেক্ষভাবে অবস্থান কবে।” The 07846 of Political Economy তে মার্ল্স লিখিত এই ব্যাখ্যাটি আমাদের অনেকেবই জানা। দুর্খায়েম বলেন সামাজিক তথ্যের স্বাধীন Uses প্রমাণ করে সমাজতত্তবের বৈজ্ঞানিব বা বিজ্ঞাননির্ভর চরিত্র দুর্ায়েম তাঁর সমাজবিশ্লেষণের পদ্ধতির ক্ষেত্রে তথ্য বা ঘটনার সঙ্গে নিয়মকানুনের অপরিহার্য পারস্পরিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। তথ্যগুলো নিয়মকানুগুলোর বাহ্যিক প্রকাশ আর নিয়মকানুনগুলো হল তথ্যগুলোর সাধারণ আভ্যস্তরীণ ভিত্তি। দুর্থামেম আরো বিশ্বাস করেন যে কতকগুলো সংবেদনাত্মক অস্পষ্ট ধারণাকে ভিত্তি করে আলোটনা oF করলে তা বস্তুর প্রকৃত চিত্র ও চরিত্র উপস্থিত করতে পারে না; তাই তিনি অস্পষ্ট ধারণা, আবেগ, কুসংস্কার, গবেষকের নিজস্ব চিত্তাভাবনা দূর করে সমাজ গবেষণায় হাত দিতে বলেন। দুর্খায়েম তার সমাজতাত্তিক পদ্ধতির ক্ষেত্রে তথ্যকে স্বতন্ত্র অস্তিত্বশীল বিষয় হিসেবে দেখলেও একথা স্বীকার করেন নি যে সমাজ ব্যাক্তি ছাড়া অস্তিত্বশীল: ব্যাক্তি ছাড়া সমাজের ধারণা এক অবাস্তব কল্পনা। সামাজিক তথ্য বা সমাজের Woy বলতে দুর্খায়েম শুধু এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে বাস্তব সামাজিক ঘটনার “বিষয়গততা” (objectivity) বা বিষয়নিষ্ঠতা আছে। তথ্যের স্বাধীন সত্তা বা অস্তিত্ব আছে একথা বলার অর্থ এটা নয় যে সামাজিক বিষয় বা ঘটনার মধ্যে অতিপ্রাকৃতিক বা অতিমানবিক রহস্যময়তা আছে। সমাজের মধ্যে স্বতন্ত্র এক আত্মা বা মন আবিষ্কার করাও তার লক্ষ্য ছিল না। গোষ্ঠী মনের কথা বললেও তাকে তিনি ব্যক্তি মন থেকে সম্পূর্ণ রূপে বিচ্ছিন্ন করেন নি। আসলে তিনি চেয়েছিলেন ব্যাক্তি ও সমাজের সম্পর্ক নির্ধারণ করতে; এটা করতে গিয়ে তিনি বলেন যে এটা হল সমগ্র ও অংশের সম্পর্ক, যেমন রাসায়নিক সম্পর্কের ধারণায় হয়ে NCE) সমগ্লের হাতে তিনি অংশকে ছেড়ে দেন নি। এক্ষেত্রে CHAT এর সঙ্গে মারের কোন পার্থক্য নেই বললেই চলে । দুর্থায়েম কৌৎ ও স্পেনসারের পদ্ধতিগত কাঠামোকে ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে করেছেন। তাঁর মতে, এঁরা দুজনেই সামাজিক তথ্যগুলোর বৈজ্ঞানিক ও বিষয়গত আলোচনা করতে Be হয়েছেন। তারা “বস্তুকেন্দ্রিক' ব্যাখ্যা না করে ধারণাকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন; ফলে সামাজিক তথ্যগুলির প্রকৃত ও বাস্তবসমৃদ্ধ ব্যাখ্যা তারা দিতে পারেন নি। দুর্খায়েম তথ্যকেন্দ্রি আলোচনার পক্ষপাতী। তার পদ্ধতি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ও উপাদানের ওপর প্রতিষ্ঠিত। Barnes দুরখাঁয়েমের বিষয়গতবাদ বা ইষ্টবাদী পদ্ধতির প্রশংসা করে লিখেছেন ঃ AS a social scientist of the positivist personnel he could not fail to support the position that science could provide a new and quite adequate basis of social organization. দুর্ঘায়েমের পদ্ধতিগত চিত্তাভাবনার সংক্ষিপ্ত সূত্রায়ণ করলে নিম্নলিখতি বিষয়গুলি লক্ষ্য করা যায়: ক) বৈজ্ঞানিক সমাজতন্তত নির্মাণ : সমাজতন্ত্বকে বিজ্ঞান হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে Bie এর অবদানকে অস্বীকার করা যায় না; Hie ই বিজ্ঞান নির্ভর সমাজতত্ত্ব গঠনের ভিত্তি ৮



Leave a Comment