মৃণালিনী [খণ্ড-১] | Mrinalini [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পিঞ্জরের বিহঙ্গা ১১ মণি। আমি তোমাকে ভালবাসিব, বাসিয়াও থাকি; কিন্তু যখন খু কথাটি মনে পড়ে, তখন মনে করি-_ মুণাপিনী পুনশ্চ নীরবে রোদন করিলেন। কহিলেন, “সি, তোমার মুখে এ কথা আমার সহ্‌ হয় না। যদি ofa আমার নিকটে শপথ কর যে, বাহা বলিব, তাহা এ সংদারে কাহারও নিকটে ae করিবে না, তবে তোমার নিকট সকল কথা প্রকাশ করিয়া বলিতে পারি। তাহা হইলে তুমি আমাকে ভালবাসিবে 1” | মণি। আমি শপথ করিতেছিif Fi তোমার চুলে দেবতার ফুল আছে, তাহা ছুয়ে শপথ কর। মণিমালিনী তাই করিলেন। তখন মৃণালিনী মণিমালিনীর কানে যাহা কহিলেন, তাহার এক্ষণে বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন নাই। শ্রবণে মণিমালিনী পরম প্রীতি প্রকাশ করিলেন । গোপন কথা সমাপ্ত হইল। মণিমালিনী কহিলেন, “তাহার পর মাধবাচার্য্যের সঙ্গে তুমি কি প্রকারে আসিলে? সে বৃত্তান্ত বলিতেছিলে, বল।” মুণালিনী কহিলেন, “আমি হেমহঞঞের আঙ্গট দেখিয়া তাকে দেখিবার ভরদাঁয় বাগানে আপিলে yet কহিল যে, 'রা্গপুভ্র নৌকায় আছেন, নৌকা তীরে লাগিয়া রহিয়াছে। আমি অনেক দিন রাজ- পুত্রকে দেখি নাই, বড় বাগ্র হইয়াছিলাম, তাই বিবেচনা-শূঠ হইলাম, তীরে আসিয়া দেখিলাম যে, যথার্থই একধানি নৌকা লাগিয়া রহিয়াছে। তাহার বাহিরে একজন পুরুষ দীড়াইয়া রহিয়াছে, মনে করিলাম যে, রাজপুত্র দাড়াইয়া রহিয়াছেন। আমি নৌকার নিকটে আসিলাম। নৌকার উপর যিনি দীড়াইয়া ছিলেন, তিনি আমার হাত ধরিয়া নৌকায় উঠাইলেন। অমনি নাবিকেরা নৌকা



Leave a Comment