দ্বিজেন্দ্রলাল-গ্রন্থাবলী | Dwijendralal-Ganthabali

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভূমিকা বঙ্গভাযায় গীতের অভাব পুরণার্থে 'আর্যগাথ রচিত za নাই। শৈশব হইতেই গীতি রচনায় আমার আসক্তি ছিল। শৈশব হইতেই প্রকৃতি- সৌন্দর্য্যে বিমুগ্ধ হইয়া গীতি রচনা করিয়া দেবীকে উপহার দিতাম। সে সব NS তখন কোন has? Wea NS হইত না। যখন যে ya ভাল লাগিত, তখন সেই স্থরেই গাইতাম। Bema আমার Qrastaca সময়ে সময়ে সেই Res ভাব-কুস্থমরাজি চয়ন ofan 'আধ্যগাথা' রচিত্ব হইল | আমার শৈশবরচিত গীতগুলির কোন কোনটি পরে অংশতঃ পরিবন্ধিত বা পরিত্যক্ত হইয়াছে | আমার অধুনাতন রচিত গীতের কতকৃপগুলি কিছু প্রচলিত গীত-নিয়ম- বিরুদ্ধ বোধ হইতে পারে। কারণ, মনের সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশার্থে সেগুলি কিছু দীর্ঘ করিতে হইয়াছে । উদাহরণতঃ স্মুর্্যের গীতটি গাওয়া কিঞ্চিৎ আয়াসমসাধ্য হইতে পারে। এই জন্য আমার অন্যান্য অধুনাতন রচিত দীর্ঘ গীতগুলি দুই কিন্বা তিন ক্ষুদ্র গীতে পরিণত করিয়াছি | ‘gates সকল গীতগুলি কবিতার ছন্দোবনদ্ধেই প্রায় রচিত হইয়াছে কিন্তু ইহার প্রতি Aes সম্পূর্ণ শাস্ত্রতঃ yea গেয়। সঙ্গীত স্বরে, কবিতা ভাষায়, এ কথা সম্পূর্ণ সত্য । কিন্তু আমরা গাইবার সময় প্রায়ই ভাষা ও স্বর মিলিত ofa, আমি যদি গীতগুলি প্রতি পাঠকের নিকট গাইয়া বেড়াইতে পারিতাম, তাহা হইলে গীতের সৌন্দর্য্য, অসৌন্দধ্য স্বরের উপরই অধিক নির্ভর করিত। কিন্তু Roofs শ্রুত অপেক্ষা অধিক পঠিত হইবে । সে জন্য ইহাদের ভাষায় ও ছন্দোবন্ধে এত দৃষ্টি বোধ হয় আপত্তিকর হুইবে না। যাহা হউক, ইহার জন্য গীতগুলি গাইবার কিছু প্রতিবন্ধক হইবে না। 'আধ্যগাথা”র ভিন্ন ভিন্ন Ars, মধ্যে মধ্যে বিরোধী ভাব থাকিতে পারে। কিন্তু ইহা স্মরণ থাকা কর্তব্য যে, 'আধ্যগাথা' কাব্য নহে। ইহা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মনের AYSS ভাবরাজি ভাষায় সংগ্রহ | প্রকৃতিবিষয়িণী গীতি এ দেশে তত প্রচলিত নাই। কিন্তু তাই বলিয়া বোধ হয় ইহা নিন্দনীয় হইবে না। সঙ্গীতের কবিতা! হৃদয়ের উচ্ছ্বাসময়। প্রকৃতি-মাধুর্্যে উদ্বেলিত সাদয়ের উচ্ছ্বাস তবে সঙ্গীতের কবিতা বলিয়া গণ্য হইবে না কেন 1



Leave a Comment