ভারত সরকারী প্রশাসন | Bharat Sarkari Prashasan

ভূমিকা xv সংগ্রহ করে, সেই অর্থ জনসেবার মাধ্যমে সকলের মধ্যে সমানভাবে বিতরণ করা। সরকারী আয়ের বড় অংশ আসে জমির খাজনা থেকে। ব্রিটিশ আমলে যা ছিল, এখনও তাই, জমির খাজনা থেকে Aad বড় আয় WRIA, তার সঙ্গে যুক্ত হয় জাতীয় ও aoe এবং স্থানিক প্রশাসনেও নানা পদ্ধতিতে আদায় করা নানা ধরনের কর। শাসন পরিষদ ও প্রশাসনব্যবস্থা আমলাতন্ত্রের ওপর নির্তরশীল। মন্ত্রীসভা সাধারণ মানুষের কাছে দায়ী থাকে আইনসভার মধ্য দিয়ে পার্লামেন্টের সদস্য (M.P.) ও- বিধানসভার সদস্য (M.L.A.) হিসাবে। তাদের সাহায্য করার জন্য থাকে কার্য নির্বাহক আমলাতন্ত্র। আমলাতন্ত্রের (Beaurocracy) কাজ মন্ত্রীদের কাজে উপদেশ দেওয়া ও সাহায্য করা এবং মন্ত্রীসভায় গৃহীত সিদ্ধান্তকে কর্মে রূপায়িত করা। এছাড়া আছে স্বাধীন বিচার বিভাগ, যার দায়িত্ব সরকারী কাজকর্মে, আইনের ও শৃঙ্খলা রক্ষার প্রতি লক্ষ রাখা; সঙ্গে সঙ্গে ন্যায় ও সত্যের মর্যাদা রক্ষা করা। এই তিনটি বিভাগ-_ ব্যবস্থাপক সভা (Legislative Assembly), বিচার বিভাগ (Judiciary) ও কার্য নির্বাহক কর্মচারীবর্গ (Executive) সংবিধানের বিভিন্ন ধারা ও উপধারায় set) সংবিধান গৃহীত হয়েছে 1950 সালের 26 জানুয়ারী। উপরোক্ত তিনটি বিভাগের মধ্যে একটি সূচ্ষ্ন সমতাবোধ ও পারস্পরিক নির্ভরতার সম্বন্ধ বর্তমান। ভারতবর্ষে সংবিধানই সর্বোচ্চ ক্ষমতার উৎস। কার্য নির্বাহক কর্মচারীবর্গ যখন ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করে তখন তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে বিচার বিভাগ। যখন লোকসভা (সেংসদ) ও রাজ্য বিধানসভা আইন প্রণয়ন করে, তখন বিচার বিভাগ স্থির করে যে, সেই আইন সংবিধানের নিয়ম নীতি মান্য করে রচনা করা হয়েছে কিনা। কিন্তু সংবিধান সংশোধনের দ্বারা লোকসভা বিচার বিভাগের অভিমতকে অগ্রাহ্য করতে পারে। সংবিধানের ধারাগুলিই (articles) প্রশাসনিক পদ্ধতিকে নিয়ন্ত্রিত করে। তাই সংবিধানকে শাসন-পরিচালন-ব্যবস্থার উৎস বলে মনে করা উচিত। সরকারী প্রশাসন-নীতি ও OG প্রশাসনের ক্ষেত্র বিশাল ও বিচিত্র। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার পাঠক্রমে প্রশাসনের বিষয় অনেক ও নানাবিধ বিষয়ের একটি; রাজনীতি বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান নামের বৃহত্তর ছত্রতলে আশ্রিত। সিলেবাসের দুটি একটি অধ্যায়ের মধ্যেই এর শিক্ষাংশ সীমাবদ্ধ অবশ্য এখন কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা পাঠ্য বিষয় হিসাবে স্বতন্ত্র গুরুত্ব পেয়েছে। নীতির দিক থেকে এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষণীয় নানা বিষয়ের