বুভুক্ষা [সংস্করণ-৩] | Bubhukkha [Ed. 3]

মনে হ'ল, চাকরির খোঁজ ক”রে ভাগ্যে কিছু জুটবে কি-না ভগবানই জানেন । যেখানেই যাই সেখানেই বিরাট ব্যর্থতা, দারুণ tants; কথনও বা অকথ্য অপমান । নিত্য নতুন আশাভঙ্গ হওয়ায় যেটুকু সাহস ছিল তাও আর ধরে রাখতে পারি নি। অবশেষে নিতাস্ত নিক্লপায় হয়ে এক মহাজনের আদায়-তহশিলের চাকরির দরখাস্ত করেছিলাম; দরখাস্ত সময়ে Chey নি, তা ছাড়া, জামিনের পঞ্চাশটা টাকার সংস্থানও করতে না পারায় সেখানেও নিরাশ হতে Var মাঝে মাঝে দু-একটা কাজ যে না জুটত তাও নয়। একবার দমকলের খালাসির চাকরির ভজঙ্তে দরখাস্ত করি। আপিসের দরজায় আমরা প্রায় পঞ্চাশজন উমেদার বুক ফুলিয়ে দাড়ালাম, যেন আমাদের বাহুতে বল, বুকে সাহসের কিছুমাত্র অভাব নেই। একজন ইন্সপেক্টর এসে তীক্ষু দৃষ্টিতে আমাদের পরীক্ষা করতে লাগল। আমাদের হাত-পা নেড়ে চেড়ে দেখে কাউকে বা দু-একটি প্রশ্ন করলে। আমার দিকে একবার com দৃষ্টিতে চেয়ে আমার দৃষ্টিহীনতার জঙ্তে মাথা নেড়ে আমার আবেদন অগ্রাহ ক'রে দিলে । তখন আর একবার চশমা খুলে দরখাস্ত পেশ করলাম। বজ্র কুচ. কিয়ে চোখে Los মত ধারালো দৃষ্টি হেনে দীড়ালাম। কিন্ত লোকটা এবারেও আমাকে চিনে ফেলল। হেসে পাশ কাটিয়ে চলে গেল। এমন জামাকাপড় আর ছিল না যাতে ক'রে কোন ভদ্রসমাজে oe বার হওয়া যায়। কাজেই অবস্থা দাড়াল আরও করুণ | Praag ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে আমার আধিক অবস্থাটা দিন দিনই সঙ্গীন হয়ে পড়ছিল । এমন কি, অবশেষে ঘরের সব জিনিসই একটির পর একটি করে বাঁধা পড়ে গেল; চুল স্বীচড়াবার চিরুনিখানাও। একটু পড়াশুনা ক'রে যে মনটাকে বিষয়াস্তরে টেনে নিয়ে যাব তারও উপায় ছিল না; কেন না, বইগুলিও সব বিক্রি করে খেরে বসে আছি। ফলে আমার দেহ-মন ক্রমেই নিস্তেজ অবসন্ন হয়ে পড়তে লাগল, গোটা 0