For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)খ) ফ্ষয়েবেল ( Froebel ) দার্শনিক ফ্রয়েবেলের জীবনটি ছিল নিতাস্তই ঘটনাবহুল । এবং মনে
হয় তার জীবনের উত্থান-পতনের ঘটনাগুলিই তার চিত্তার ধারাকে একটি
বিশি্ পাতে প্রবাহিত করতে বাধ্য করেছিল । এ কারণেই হয়ত দেখতে
পাই তার ate যেন আধ্যাত্মিকতার ছোয়াচ লেগেছিল । তিনি ছিলেন
একজন অতিশয় ধর্মপতায়ণ ব্যক্তি। ভারতীয় দৃষ্টিতে আমর] তাকে
একজন অদ্বৈতবাদী বলেই অভিহিত করব। তিনি বিশ্বাস করতেন--এ
বিরাট বিশ্বের মূলে এক মহাশক্তি ক্রিয়ারত। এ জগৎ সে শক্তরই লীলা-
বিলাস | স্থাবরজঙ্গমে সর্বত্রই সেই শক্তির উৎস Few ধারায় Crew
ইচ্ছে। তাই সবকিছুতেই তিনি মহামায়ার মহিমা নিরীক্ষণ করতেন। রুশোর yRowce সমাঞতান্তিক বললে ফ্রয়েবেলের ঘৃষ্টিভঙ্গীকে বল
যেতে পারে খাধ্যাত্মিক। ফয়েবেলের মতে, সেই এক অদ্বিতীয় পরমাত্নাকে
উপলব্ধি করাই মানবজ্জীবনের চরম ও পরম উদ্দেশ্য। প্রতি মানবশিশুতে
যে শক্তি সুপ্ত অবস্থায় আছে, পাথিব বিবর্তনের মধ্য দিয়ে সে শক্তি একদিন
বিশ্বশক্তির সাথে মিলিত হবে। কাজেই ফ্রয়েবেলের মতে-_সেই সুপ্ত
শক্তিকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা! Fal এবং তাকে পরিপূর্ণ বিকাশের Beata
করে দেওয়াই শিক্ষার উদ্দেশ্য। শিক্ষা শুধু একটি উপায় মাত্র, যার সাহায্যে
CAR ঘুমস্ত চেতনাকে জাগিয়ে তুলে তাকে বিকাশের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে
পারা যায়। শিশুকে তিনি ভাবতেন স্বর্গের ye বলে। শিশু বালক নয়, শিশু
শিশুই । জীবনের দায়িত্ব কি, সে তা জানে না। কোন প্রকার স্বার্থের
গন্ধ পারে নি তাকে আজও স্পর্শ করতে Pte নির্মল, পবিত্র এবং অপরের
আনন্দে সে নিজেও যেন আত্মহারা হয়ে যায়। শিশুর ভিতর তিনি দেখতে
পেতেন এক স্বগায় আলে] | ভিতর থেকে মহাশক্তি স্বতঃই যোগাচ্ছে শিশুর
কর্মপ্রেরণা। ফলে, সদাই সে কাজ চায়। কাজ ছাড়া সে যে এক মুহূর্তও
জেগে থাকতে পারে না। এসব কাজের উদ্দেশ্য শিশুদের জানা না থাকলেও
ফ্রয়েবেল কিন্তু তা জানতেন। তিনি উপলব্ধি করতেন, এসব কাজের মধ্য
দিয়েই শিশু এগিয়ে চলেছে পরমাত্মনার সাথে মিলিত হতে। ভাঙ্গা, আর ১০