বিষবৃক্ষ | Bishabriksha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৪ বিষবৃক্ষ করুণাময়ী জননী তাহার সামনে আসিয়া দাড়াইয়াছেন। তিনি তাহাকে ভূতল হইতে তুলিয়া ক্রোড়ে লইলেন এবং কুন্দের মুখ চুম্বন করিয়া বলিলেন, “বাছা! তুই বিস্তর দুঃখ পাইয়াছিস্‌। আমি জানিতেছি যে, তুই বিস্তর দুঃখ পাইবি। তোর শরীরে সে দুঃখ সহিবে না। অতএব তুই আর এখানে থাকিস্‌ না, পৃথিবী ত্যাগ করিয়া আমার সঙ্গে আয়!” কুন্দ যেন ইহাতে উত্তর করিল যে, “কোথায় যাইব ?”” তখন কুন্দের জননী উর্ধে অঙ্গুলিনির্দোশ দ্বারা উজ্জ্বল প্রজ্বলিত নক্ষত্রলোক দেখাইয়া দিয়া বলিলেন, “এ দেশে ।” কুন্দ তখন যেন বহুদূরবর্তাঁ নক্ষত্রলোক দৃষ্টি করিয়া কহিল, “আমি অত দূর যাইতে পারিব না, আমার বল নাই ।” ইহা শুনিয়া জননী যেন মৃদু-গম্ভীর aca কহিলেন, “বাছা, যাহা তোমার ইচ্ছা, তাহা] কর। কিন্তু আমার সঙ্গে আসিলে ভাল করিতে । ইহার পর তুমি এ নক্ষত্রলোকপ্রতি চাহিয়৷ তথায় আসিবার জন্য কাতর হইবে | আমি আর একবার তোমাকে দেখা দিব। যখন তুমি মনঃপীড়ায় ধূল্যবলুষ্ঠিতা হইয়া, আমাকে মনে করিয়া, আমার কাছে আসিবার জন্য কীদিবে, তখন আমি আবার দেখা দিব, তখন আমার সঙ্গে ore! এখন তুমি আকাশপ্রাস্তে একবার চাহিয়া arti আমি তোমাকে দুইটি মনুষ্যমূর্তি দেখাইতেছি। এই দুই মনুষযুই ইহলোকে তোমার শুভাশুভের কারণ হইবে । যদি পার, তবে ইহাদিগকে দেখিলে বিষধরবৎ প্রত্যাখ্যান করিও। তাহারা যে পথে যাইবে, সে পথে যাইও না ।” তখন করুণাময়ী জননী, অঙ্গুলিসন্কেত দ্বারা গগনোপান্ত দেখাইলেন।. কুন্দ দেখিল, নীল গগনপটে এক দেবনিন্দিত পুরুষমূত্তি অঙ্কিত হইয়াছে । তাহার প্রশান্ত ললাট, সরল কটাক্ষ এবং অন্যান্য মহাপুরুষ



Leave a Comment