For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)৬ প্রীঅরবিদ্দের জীবন ও কর্ম আধ্যাত্মিকতার প্রভাবে সমগ্র মানবজাতির রূপান্তর ও সারা পৃথিবাঁর বুকে
ভগবৎ অভিব্যক্তি--বরাবরই এই auteurs কথাই তিনি মানবজাতির মধ্যে
প্রচার ক'রে এসেছেন তারই পূর্বপ্রস্তুতির জন্য দরকার ছিল ভারতের
Blas মোচন ও রাজনৈতিক মুক্তি । আমরা এর পর দেখতেই পাবো যে
জননেতা হবার প্রথম থেকেই তিনি তার এই মূলস্থত্র ধরেই বরাবর এই কথা
বলে গেছেন-_ভারত জাগছে তার নিজের জন্য নয়, কিন্তু ভগবানের By,
সমগ্র মানবের ভিতরকার পরমাত্মার GTI ] শ্রীঅববিন্দের রাজনৈতিক তৎপরতার তিনটি দিক ছিল। প্রথম যা নিয়ে
তিনি শুরু করেন তা হলো এক বিপ্লবী দল গঠন, যার মূল উদ্দেশ্য হবে সশস্ত্র
বিস্তোহের জন্য প্রস্তুত হওয়া feel, সমগ্র জাতির জনগণের মধ্যে পূর্ণ
স্বাধীনতা লাভের মনোভাব ও ইচ্ছাকে জাগিয়ে তোলা, যা তখনকার দিনে
অধিকাংশ লোকের মধ্যে অসম্ভব কথা ও পাগলের প্রলাপ বলেই একটা বদ্ধমূল
ধারণ| far) তখন সবাই জানতো যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সর্বশক্তিমান, ভারত
তার কাছে নিতান্তই দুর্বল, শক্তিহীন ও অস্ত্রহীন, Toss ওরূপ কোনো ইচ্ছা
কল্পনার মধ্যেই আনা যায় না। তৃতীয়ত জনগণকে এমন ভাবে জাগিয়ে
তোলা যাতে তাদের সমবেত অসহযোগ ও শান্তিপূর্ণ বিরুদ্ধতার দ্বারা
বিদ্বেশীদের এখানে থেকে রাজত্ব করা অচল হয়ে ওঠে। “বন্দে মাতরম্* পত্তিকাতে তিনি অসহযোগ সম্পর্কে এই কথাই
লিখেছিলেন :-_ আমাদের সর্বদাই এটা মনে রাখা উচিত যে বিদেশীদের একচ্ছত্র প্রতৃত্ব
নির্ভর করছে নিতান্ত অসহায়ভাবে আমাদেরই সায় দেওয়া সহযোগিতার
উপর। কিন্তু এই সহযোগিতা যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় তা'হলেই ওদের
অবাধ প্রভুত্ব ভেঙে একেবারে খসে পড়ে যাবে তাসের ঘরের মতো। এ
যুক্তি নতুন নয়, খুবই পুরানো, কিন্তু ভারত কেবল সম্প্রতিই এর তাৎপধ
WITT করতে VS করেছে। রাজাশাসকদের পক্ষে এই স্থানীয় সাহায্য ও
সহযোগের প্রয়োজন এত অধিক বলেই হয়তো ভারতের পক্ষে বিনা রক্তপাতে
মুক্তিলাভ করা খুব সম্ভব হবে। প্রত্যেক ভারতীয় যদি তার আপন জন্মতূমিতে
বিদেশীর এরূপ যথেচ্ছ শাসনে অসহিষ্ণু হয়ে তা মানতে অস্বীকার করে, GP AeA
ওদের অবাধ প্রভৃত্ব একদিনেই ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারে। যিনি দেশের
মুক্তির আদর্শ প্রচার করতে চান তিনি আগে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে