শতবর্ষের সেরা রহস্য উপন্যাস ২ | Shatabarsher Sera Rahasya Upanyas 2

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ শতবর্ষের সেরা রহস্য উপন্যাস ২ তা হলে কী করবে! নন্দ মিস্ত্রির ওখানে নিয়ে যাও না হয় গাড়িটা, বললাম। ও তো এই নিয়ে তিনবার সারিয়ে দিল। আমাকে যদি একদিনের ছুটি দেন তো হাজারিবাগে একজন ভালো মিস্ত্রি আছে, নিজে আমি তাকে গিয়ে একেবারে সঙ্গে করে নিয়ে আসি। বেশ, তাই না হয় যাও। এক্ষুনি তা হলে সাড়ে AOA বাসে চলে যাই, স্যার? তাই যাও। ড্রাইভারকে বিদায় দিয়ে হেঁটেই বাজারের দিকে চললাম। কিছুদূর এগুতেই পরিচিত কণ্ঠস্বরের ডাকে চমকে তাকালাম।--ডাক্তার সেন? এই যে মিস্টার গুণ্ত--আপনি আমাকে ফোন করেছিলেন শুনলাম? Syl, ডাক্তার। সমরের কোনও খোঁজখবর পেলেন? নিজেই স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে প্রশ্নটা করলাম। না। সে যাক, তোমার সঙ্গে আমার কিছু জরুরি কথা ছিল, ডাক্তার। বেশ তো, আমি বিকেলের দিকে যাব খন। ২ বিকেলে নয়। একটু নিরিবিলিতে সময় নিয়ে কথাটা বলতে চাই। বরং আজ রাত্রে তুমি আমার ওখানেই ডিনার খাবে। ডিনারের পরই কথাবার্তা হবে'খন। বলদেববাবু, মেজর কৃষ্ণস্বামীকেও বলেছি ডিনার খেতে-_ ৷ বেশ, যাব। Si, এসো। বলে আর দাঁড়ালেন না সূর্যপ্রসাদ। সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন। দীর্ঘ বলিষ্ঠ চওড়া চেহারা সূর্যপ্রসাদের। সত্তরের কাছাকাছি বয়েস হয়েছে তবু হাঁটেন এখনও সোজা হয়ে। উঃ, হাড়কৃপণ লোকটা! এত টাকা-_ইচ্ছা করলে আট-দশটা গাড়ি রাখতে পারেন, তবু পায়ে হেঁটে সব জায়গায় যাবেন। ভগবানের বিচার বলব অদ্ভুত! কাউকে দেবেন তো একেবারে দু-হাতে ঢেলে দেবেন। আর যাকে দেবেন না তো একেবারেই দেবেন না। তিন বাড়ি ফিরতে-ফিরতে বেলা প্রায় সাড়ে এগারোটা হয়ে গেল। রবিবার বলে মিতার স্কুল নেই। মিতা বাইরের ঘরেই একটা সোফার ওপরে বসে উলের কী একটা যেন বুনছিল। আমার পদশব্দ পেয়ে মুখ তুলে তাকাল ।--_দাদা, একটা ভালো সংবাদ আছে। মিতার মুখের দিকে চেয়ে কোনও কথা না বলে মৃদু হেসে ভিতরের fice এগিয়ে যেতেই পিছন থেকে মিতা বলে ওঠে, চলে যাচ্ছ যে। সত্যি বলছি, গুড নিউজ! কালা তো নই, শুনতে পাচ্ছি।--বলে দু-পা এগিয়ে গেলাম। মিতা এবার সোফা থেকে উঠে আমার পিছনে এসে দাঁড়ায়। আমি এসে আমার ঘরে প্রবেশ করলাম, মিতাও পিছনে-পিছনে এসে সেই ঘরে ঢুকল।



Leave a Comment