শতবর্ষের সেরা রহস্য উপন্যাস ৩ | Shatabarsher Sera Rahasya Upanyas 3

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ শতবর্ষের সেরা রহস্য উপন্যাস ৩ খুব অদ্ভুত লেগেছিল। ও যেন আমাকে ওখান থেকে তাড়াতে পারলে বাঁচে। ওর কাছ থেকে কোনও সাহায্যই পাওয়া যাবে at বিরক্ত হয়ে বললাম, “ঠিক আছে। তুমি যাও!” তারপর চৌকিদার চলে যাওয়ার পর আমি ঘরের দরজা. বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম। কিন্তু ঘুম আর আসতে চায় না। খালি পেটে সহজে ঘুম আসতে চায় না। একবার দরজা খুলে বাইরে এলাম। বৃষ্টি থেমে গেছে। গাড়িটার সব দরজা লক করা আছে কিনা দেখলাম। চৌকিদারের ঘরে তখন আলো জ্বলছে। কম্পাউন্ডের মধ্যে ঘুরে বেড়ালাম খানিকক্ষণ চারদিকে অসম্ভব চুপচাপ। বড় রাস্তা দিয়ে একটাও গাড়ি যাচ্ছে না। বাংলোর কম্পাউন্ডের ওপাশে একটা উঁচু বাধের মতো। ওপরে উঠে দেখলাম, পাশেই একটা খাল। তার উলটো দিকে আট-দশটা খড় ও টিনের বাড়ি। চৌকিদারটা মিথ্যেবাদী, ও বলেছিল গ্রাম দু-মাইল দূরে। অথচ এত কাছেই তো বাড়ি রয়েছে। ফিরে এলাম নিজের ঘরে। কেন জানি না, খুবই অস্বস্তি লাগছে, কিছুতেই শুতে ইচ্ছা করছে না। আর মনে হচ্ছিল, ঘরের মধ্যে একটা যেন ক্ষীণ গন্ধ পাচ্ছি। ঘরে ঢোকার পর থেকেই গন্ধটা নাকে আসছিল। আগে ঠিক খেয়াল sa) ডেটলের গন্ধের মতন। অবশ্য আমি ডাক্তার মানুষ, ডেটলের গন্ধ শৌকা অভ্যাস বলেই বোধহয় কল্পনা করেছিলাম সেটা। নইলে, অত রাত্রে বাংলোর মধ্যে ডেটলের TH আসবে কোথা CAH! আমার ঘরের তিনটে দরজা বারান্দার দিকে। উলটো দিকে আর একটা বাথরুমের- বাকি দরজাটা খুলে দেখতে হল। সেটা খুলতেই আমি চলে এলাম পাশের ঘরে। দরজাটার ছিটকানি লাগানো ছিল না। পাশের ঘরে এসে টৌকিদারটার ওপর আমি আরও রেগে গেলাম। ও বলেছিল, এই ঘরটা অপরিষ্কার হয়ে আছে। কিন্তু ঠিক তার উলটো; সেই ঘরটিই বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, মনে হয় সেদিন বিকেলেই সাফ করা হয়েছে। এই ঘরে ডেটলের গন্ধ আরও বেশি। এদিক-ওদিকে তাকিয়েও এই গন্ধের কোনও কারণ বুঝতে পারলাম না। দুটো খাট পাশাপাশি জোড়া দিয়ে তার ওপর নিখুঁত ভাবে বিছানা পাতা। ধপধপে চাদর। চৌকিদারটার মিথ্যে কথা বলার মানে কী! এ-ঘরে কি অন্য কেউ থাকে? চৌকিদারের সঙ্গে বন্দোবস্ত করে অনেক সময়ে বাইরের লোক ডাকবাংলোয় পাকাপাকি আস্তানা গাড়ে। হোটেলের চেয়ে অনেক সস্তা হয়। কিন্তু এখানে এই ফাঁকা মাঠের মধ্যে কে থাকতে আসবে? তা ছাড়া, ঘরটায় এমন কোনও জিনিসপত্র নেই যা থেকে বোঝা যাবে সেখানে কেউ নিয়মিত থাকে। আমার ch চাপল যে আমি এ-ঘরটাতেই থাকব। আমার ঘরে সিঙ্গল খাট, ওই ঘরে ডবল খাট-_হাত-পা ছড়িয়ে শোয়া যাবে। পাশের ঘর থেকে আমার সুটকেস ও জামাকাপড় নিয়ে এলাম। এই ঘরটায় দরজায় বাইরে থেকে তালাবদ্ধ, তবু আমি ছিটকিনি দিয়ে দিলাম ভেতর থেকে। অন্য সব দরজাটরজাও আটকালাম, হ্যাজাকটা সম্পূর্ণ না নিভিয্নে খুব কমিয়ে রেখে দিলাম টেবিলের BATA! সুটকেস থেকে আমার রিভলভারটা বার করে রেখে দিলাম বালিশের নীচে ।' রঞ্জন জিগ্যেস করল, 'আপনার সঙ্গে বুঝি সবসময় রিভলভার acs?’ কর্নেল সেন বললেন, “তখন থাকত। বিহার শরিফে একবার eats পাল্লায় পড়েছিলাম-_ তারপর থেকে গান পারমিট করিয়ে নিয়েছিলাম। মাধবী জিগ্যেস করলে, “কী হয়েছিল বিহার শরিফে?” কর্নেল সেন বললেন, “সে গল্প শোনোনি? সেবার তো রঞ্জনের কাক্কা--অর্থাৎ তোমার খুড়শ্বশুর শৈলেনও আমার সঙ্গে ছিল। বিহার শরিফের কাছে Gonna পাল্লায় পড়েছিলাম। প্রাণেই মেরে ফেলত-_শৈলেনের কাঁধে তো ছুরিও মেরেছিল-_* - আমি বললাম, “সেটা অন্য গল্প। সেটা এখন থাক। এখন আগে এই ডাকবাংলোর গল্পটাই



Leave a Comment