সৈয়দ মুজতেবা আলী রচনাবলী [খণ্ড-৯] | Saiyad Mujteba Ali Rachanabali [Vol. 9]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
[ We ] অথবা রম-পরিবর্তনের ক্ষমতাও তিনি লাভ করেছেন এই উপাদান-বৈচিত্র্য থেকে | কোন কোন সমালোচক মুজতবা আলীর রচনায় অমংখ্য ভাযাঘটিত অমঙ্গতি, স্ববিরোধ, এমন কি অস্তদ্ধি পর্যন্ত দেখতে পেয়েছেন--বানানে, ব্যাকরণে, উচ্চারণে, প্রতিবর্ণীকরণে ( transliteration-« ), বিশিষ্টার্থক atfafy (idiom ) প্রয়োগে এবং আরও A CHU তাদের অভিযোগটা অবশ্যই সত্য, কিন্তু এর ফলে লেখক হিসাবে আলী সাহেবের মর্যাদা বা উৎকর্ষ কিঞ্চিন্মাত্রও eA হয়েছে বলে আমি মনে করি না, বরং আমার বিশ্বাস তার রচনার এই 'ক্রটিটুকু তার চরিত্রের এ-ট1] বিশেষ দিককে বুঝতে আমাদের সাহায্য করে। তার মনের মধ্যে কোথায় যেন ধৈর্যের একটু অভাব ছিল face বসে নিজের বক্তব্য এবং সেই বজক্তবোযের স্ববিস্তূত রস-সম্ভাবনা নিয়ে তিনি এমনই মশগুল হয়ে যেতেন ce ছোটখাটো ক্রুটিবিচ্যুতিকে তিনি হিসাবের মধ্যে ধরতেন না- পিছন ফিরে অস্তদ্ধি-সংশোধনের FU ভাবতেই পারতেন না, যেন একটু মূচকি হেসে বলতেন, “BTM দেও ভাই, ও-সব ছোট কথা নিয়ে মগজ ঘামাতে নেই ।'-- দুবার হাত নেড়ে সব ব্যাপারটা হাওয়ায় উড়িয়ে দিতেন | তুচ্ছ বস্তুর প্রতি এই হালকা অবজ্ঞার মনোতাবকেই বোধ BY একজন ইংরেজ লেখক ‘utter neglect of the non-essential’ নামে অভিহিত করেছেন। এই ছিল যার রচনা-রীতির বিশেষত্ব তার সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে একটা যুক্তিসিদ্ধ ধারণ! গড়ে তোলা আমার পক্ষে অন্ততঃ খুব কষ্টসাধ্য হয় নি। ঈষৎ খেয়ালী মজলিসী মেজাজের মানুষটি; কথা বলতে ভালোবাসেন, তবে কথ বলেন প্রধানতঃ কলম দ্বিয়ে ; নানা বিষয়ে প্রগাঢ় পাস্ডিত্যের অধিকারী, কিন্তু দে পাণ্ডিত্য খোস-পাঁচড়ার মত সর্বাঙ্গে ফুটে বেরোয় না, আলাপচারির গোলাপবাগে ফুল হুয়ে মৌগন্ধ্য ছড়ায়; কথায় কথায় হাসতে জানেন-_-নিজে হেসে ও পরকে হাসিয়ে আনন্দ পান; নিজেকে নিয়েও অনায়াসে ব্যঙ্গ-কৌতুক করতে পারেন; শ্রদ্ধেয়কে শ্রদ্ধা এবং অবজ্ঞেযেকে অবজ্ঞা করতে কখনও দ্বিধা করেন AL ISA আলীর রচনায় আপাতদৃষ্ট তিক্ত ব্যঙ্গ-প্রবণতার নিচে আছে মাহুযের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসা, পাণ্ডিত্যের গাম্ভীর্ধের নিচে আছে অকৃত্রিম সরলতা, এবং wis পরিমল গোষ্বামীর ভাষায়, ‘eel মেজাজের নিচের স্তরে আছে একটি গভীর সংবেদনশীল মন । নর্বপ্রকার গৌড়ামি-বজিত এই মান্যটিকে 'মনের stay হিসাবে পেতে



Leave a Comment