বিদেশীর ভারত-বিদ্যা পথিক | Bideshiya Bharat-bidya Pathik

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
[তত] আলেকৃস্ন্দার হামিলটন নামে একজন ইংরেজ সেনানী ভারত হইতে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পথে ফযাসীদের হাতে ধর| পড়েন। ইনি উত্তমরূপে FS ভাষা জানিতেন ৷ বন্দী অবস্থায় ইহার চ8:15-এ বাসকালে ইনি বহু ইউরোপীয় পণ্ডিতকে সংস্কৃত শিক্ষা দান করেন। ইহার একজন জার্মান fry Friedrich Schlegel (শ্লেগেল) ১৮*৮ খৃষ্টাবে Ueber die Sprache und Weisheit der Inder (ভারতীয়গণের ভাষা ও তাহাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান ) নামে একটি পুষ্তক রচনা করেন। ১৮১৬ ঘৃষ্টাব্ে জার্মান পণ্ডিত Franz Bopp বোপ., আর্ধ্যভাষা সমূহের তুলনাযূলক ব্যাকরণ Ay তাহার প্রথম পুস্তক প্রকাশ করেন। এই ভাবে ধীরে ধীরে ইউরোপে Orientology বা প্রাচ্য-বিদ্যা, এবং বিশেষ Gha Indology বা ভারত-বিদ্ার প্রবর্তন হইল। ইউরোপীয় বা আধুমিক পদ্ধতি, অর্থাৎ এতিহাসিক ও তুলনাযূলক পদ্ধতিতে ভারত-বিষ্যার চর্চা প্রথমে ইউরোপীয় পণ্ডিতদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। অর্ধশতকের মধ্যে ভারতীয় পণ্ডিতেরাও এই পদ্ধতির সন্ধান পাইয়া নিজেদের নষ্ট-কোঠী উদ্ধারের জন্য ইউরোপীয় পণ্ডিতদের পাশে আসিয়া দীড়াইলেন; এবং এই উভয় খেণীর' পণ্ডিতদ্বের সহযোগিতায় ও মিলিত চেষ্টায় ভারতের সংস্কৃতি ও ইতিহাস AWE পূর্ণ গবেষণার ধারা সুপ্রতিষ্ঠিত হইল। বিশ্ব-মংস্কৃতির ইতিহাসে এই Indological 1২০5০৪৮০৮-এর একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থান আছে। Indology বা ভারত-তত্্বের কথা এখন কেবল ভারতেরই জনগণের আত্ম-মমীক্ষা বা জ্ঞান-বৃদ্ধির জন্য নহে, ভারতের wafer নৃতন যুল্যায়নের সঙ্গে সঙ্গে ইহার প্রতিষ্ঠা ও প্রভাব বিশ্বমানবের মনেও গভীর রেখাপাত করিতেছে। এই বিস্তার আলোচনায় যাহারা ইহার পথিকৃৎ ছিলেন এবং যাহারা নানা দিকে ইহার সম্প্রসারণে ও পরিবর্ধনে অংশ গ্রহণ করিয়াছেন, তাঁহাদের পূর্ণ অবদানগুলি ভারতের শিক্ষিত জনের পক্ষে নিতান্ত উপযোগী আলোচনার ক্ষেত্র। নিবিষ্ট চিত্তে অধ্যয়ন করিলে, ইহাদের সকলের কৃতি হইতে ভারতের সংস্কৃতির ইতিহাস কি shan পদক্ষেপের পর পদক্ষেপ অবলম্বনে গড়িয়৷ উঠিয়াছে ste আমরা বুঝিতে পারিব। মানসিক সংস্কৃতির অনুরাগী প্রত্যেক ভারতীয় শিক্ষিত জনের নিকট এই আলোচনা অতি যুল্যবান্‌ হইবে | বিশেষ আনন্দের কথা, স্থসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শ্রীগোরাঙ্গগোপাল'



Leave a Comment