স্বপনচারিণী | Swapancharini

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
স্বপনচারিণী ১৩ এলোমেলো চুলের ভার দেখতে পেয়েছে সে কথা জানায় না। এ মেয়েটি এতোদিনকার বাধা-ধরা জীবনে তার একট বিপর্যয় এনে দিতে বসেছে-_যতে৷ মনে হয় ততোই অবর্ণনীয় অনুভূতির ছোয়া পায় সে । এর পর থেকে কী করে বাজাবে বাঁশি ? গান-বাজন৷ জান! তরুণীদের কানে তার কাচা Wa নিশ্চয়ই অত্যন্ত "খারাপ শোনাবে! সে রাতে জুলিয়েন ঘরে ফিরলে চুপি চুপি । আলো জ্বাললেো না । সামনের সেই জানলা আজ আর খুললো ali রাত তখন দশটা হবে, একটা ম্লান আলোর রেখা Cay হয়ে উঠলো ওপারের জানলার খড়খড়ির ফাঁকে, খানিক বাদে আবার অন্ধকার ! জুলিয়েন বসে বসে ওই অন্ধকার জানলার কথাই ভাবে | এর পর থেকে প্রত্যহ সন্ধ্যেবেলায় কাজ হোলো তার লুকিয়ে লুকিয়ে এমন ধারা লক্ষ্য Sal কোনো পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যায় না, আগের মতোই পুরোনো প্রাসাদটি ঘুমোতে থাকে। নতুন জীবনের ATG! পেতে হ'লে চোখ কানকে যথেষ্ট তৈরী করা দরকার | কখনে৷ কখনো জানলায় আলোক রশ্মি ঘুরে বেড়ায়, পর্দার কোণ খানিক টা উঠে যায়, সেই উন্মুক্ত পথে প্রকাণ্ড ঘরখানা চকিতের মতো নজরে পড়ে। অন্য সময়ে মৃদু পদসঞ্চারে বাগানে কে যেন যাচ্ছে মনে হয়, পিয়ানে৷ বাজিয়ে কে যেন গাইছে ক্ষীণ ভাবে, ভেসে আসে তারি ya! এইটুকু শব্দেই জুলিয়েন রেগে ওঠার ভান ক'রে ঢাকা দিতে চায় তার কৌতুহল ।



Leave a Comment