For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)সত্তর বৎসর ১৮৫৭-১৯২৭
(১)
বকৈফিয়ৎ গত ২২শে কান্তিক (১৩৩৩৬) সত্তরে পা দিয়াছি। এদেশে
এ কালে সত্তর বছর বীচিয়া থাক] কম কথা নহে। কেবল বীঁচিয়া
থাকারই একটা আনন্দ আছে। সংসারের ছুংখ-দারিদ্্য শোক-তাপ
কিছুতেই এই আনন্দকে একেবারে নষ্ট করিতে পারে না। অতিশয়
VASA যারা এই জন্য তারা পর্য্যন্ত অশেষ কষ্টের মধ্যেও জীবনকে
আঁকড়াইয়] ধরিয়| থাকে। নানা সুখ-দুঃখের ভিতর দিয়া এই জীবন
কাটিয়াছে; কিন্তু সেসকল জীবনের আনন্দকে নষ্ট করে নাই। এই দীর্ঘ
আয়ুর জন্য ভগবানের চরণে কৃতজ্ঞতা সহকারে অসংখ্য প্রণিপাত করি। এ জগতে আসিয়া] ভারতবর্ষে জন্মিয়াছি ইহা সৌভাগ্যের কথা।
আবার যদি এই সংসারে জন্মিতে হয়, তাহা হইলে এই ভারতবর্ষেই
জন্মিতে চাই, স্ুখ-সমৃদ্ধিশালী অন্য কোন দেশে জন্মিতে চাহি না।
এই ভারতবর্ষের মধ্যে এই বাংলা act জন্মিয়াছি, ইহা আরও
সৌভাগ্যের কথা। সর্বোপরি এই বাংলা দেশে এযুগে জন্মিয়াছি
ইহ] পরম সৌভাগো্যের কথা। যৃত জাতি কি করিয়] নবজীবন প্রাপ্ত
হয় এযুগে এই বাংলা দেশে STA তাহা স্বচক্ষে অনেকটা দেখিয়াছি!
এ পরম সৌভাগ্য সকলের ঘটে না। সকলেই বলেন, ভারতবর্ষের এই নবযুগের প্রবর্তক মহাপুরুষ
রাজ! রামমোহন রায়। রামমোহনকে দেখি নাই, আমার জন্মের চব্বিশ
বৎসর পূর্বে রাজ! বিদেশে বিভূমে দেহরক্ষা করেন। শৈশবে বাবার