রবীন্দ্রনাথ : কাব্য বিচারের ভূমিকা | Rabindranath : Kabya Bicharer Bhumika

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রবীন্দ্রনাথ “সন্ধ্যা wes অথবা প্রভাত সঙ্গীত' কুশল কাব্য-সবষ্ট হিসেবে যতটা দূর্বল হোক না কেন স্থ্র-মাধ্যের দিক থেকে এগুলোকে কোনও ক্রমেই অস্বীকার করা যায় না। আমরা প্রাথমিক পায়ে রবীন্দ্রনাথের ধ্বনির সচেতনতা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করি এবং এই ধ্বনির মাধ্যমেই রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন বাংলা কবিতার সঙ্গে একটা বিশেষ প্রাণ-চেতন্যে সম্পঞ্কিত প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষ্য করি যে রবীন্দ্রনাথের কবিতার শব্দগুলো অপরিচিত কোনও Gots নয়, Sin একটি পরিচিত আত্বীয়লোক থেকে এসেছে। কবিতার ভাষাকে একজন সমালোচক প্রাথমিক পায়ে prim'tive language বলেছেন বা আদিম cin! এই আদিম ভাষার স্বতাবৰ হচ্ছে কল্পনার উপর নির্তরশীলতা, যুক্তির উপর নয়। ভাষা তার আদিমতায় সব কিছুকেই ব্যাপকভাবে গ্রহণ করতে চায়। তাই তখন ভাষা বিশিষ্ট অর্থদ্যোতক না হয়ে সাধারণ অর্থদ্যোতনা বহন করতে যেয়ে তার আদিম রূপে অতীতের সঙ্গে অতি সহজেই wifes হয়। রবীন্দ্রনাথের প্রাথমিক কাব্যধারার মধ্যে এই সম্পর্কটি অত্যন্ত উজ্জল । ক্রমশঃ রবীন্দ্রনাথ শব্দের এই আদিম বন্ধন থেকে বেরিয়ে এলেন অনবরত নতুন নতুন শব্দ গ্রহণ করে এবং নতুন তাবে উপমা রূপককে নির্মাণ করে, যার পরিচয় পাই রবীন্দ্রনাথের 'সোনার তরী” 'চিত্রা' থেকে আরম্ভ করে 'শেষ লেখা” ate কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ের এই আদিম ভাষা যা অতীতের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথকে সম্পঞ্কিত করেছিল সেই আদিম ভাষার প্রবাহ থেকে রবীন্দ্রনাথ সম্পূর্ণ দূরে কখনও সরে যাননি। এই ভাষার অনুকরণ তাঁর শেষ দিককার রচনার মধ্যেও সপষ্ট। আমার tea হচ্ছে যে ববীন্দ্রনাথ বাংলা কাব্য- ধারার প্রতিহ্যের সঙ্গে একটি আদিম স্ব্রযর্ছুনায় সম্পকিত। তাই কবিতা ও গানের ছন্দ ও স্থরের মধ্যে রবীন্দ্রনাথকে বাংলা কাব্যধারার সঙ্গে নিগুঢ়ভাবে সম্পকিত পাব। কবিতায় সর্ব কালীনতা বস্তু কি তা ব্যাখ্যা করা খুব সহজ নয়। তার কারণ যে কোনও বোধ, বিশিষ্ট as চেতনা হতে উদ্ভূত হয়ে সর্বকালীন চেতনায় রূপান্তরিত হয়, আবার সর্বকালীন চেতনাকে অব্যন্বন করে একটি সবজন-গ্রাহ্য বোধ নির্মাণ en যেতে পারে ata একটু ব্যাখ্যা করলে কথাটি স্পষ্টভাবে বোঝা 'যাবে। আমি “যদি বলি গোলাপ wore ছড়ায় তাহলে কথাটি কোনও বিশিষ্ট বোধের বিজ্ঞপ্তি আনল mI তার ১১



Leave a Comment