কবিতার কথা ও অন্যান্য বিবেচনা | Kabitar Katha O Anyany Bibechana

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কবিতার কথা মধুর HB অপূর্বরসা্রিত। একই সঙ্গে বসস্তের আবেশ ও উন্মুখ স্ব্দয়ের CHAT শব্টিতে ধরা পড়েছে। স্বরদাসের প্রার্থনায় রবীন্দ্রনাথ যে-ভাষ| বাবহার করেছেন তা PRPS ও পরিমাজিত এবং প্রকাশমান আবেগের মধ্যে শালীনতার পরিচয় আছে । প্রভাত-রশ্মির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে SPE ছুরিকাকে আর বলা হয়েছে আখির wary কথা। শব্দের এ প্রয়োগ gas কিন্তু অসাধারণ ay) সমস্ত কিছুই অশরীরী মায়ার মতো সন্ধযাবেলার লাল আলোয় সূর্যের সর্ববর্ণের পরিচর্যা যেমন নেই, এখানে তেমনি প্রেমাকুল মানব-চিত্তের সর্ব-আবেদনের প্রশ্রয় নেই । মোহিতলাল মজুমদারের উদাহরণটিও শব্দের স্বসংস্কৃত প্রয়োগের পরিচয় বহন করে, কিন্তু আশ্চর্য প্রয়োগের নয়। কবির সজাগ মন দেহবিলাসের উপলব্ধিজনিত হর্য ও বেদনাকে মূর্ত করতে তৎপর হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের অন্য দুটি উদাহরণে শব্দের অসাধারণ প্রসার ও সম্ভাবনা ধরা পড়েছে। একক্ষেত্রে কবি প্রিয়তমাকে জেগে উঠতে বলছেন স্বপ্নে আর “আকাশে চুলের Ta দিয়ো পাতি, এনো সচকিত কাকনের fafafga ” প্রেম-সচকিত হৃদয়ের এ আশ্চর্য উপলব্ধির তুলনা নমেই। এ উক্তির প্রতিটি শব্দের সাধারণ অর্থ আমরা জানি, কিন্তু বিশেষ বিল্যাসে সব কটি swe, একমাত্র ক্রিয়াপদ ব্যতিরেকে, নতুন রংস্যের আবেগ এনেছে ৷ নজরুল ইস্লামের উদাহরণের একটি চরণ “ব্যথার পরশে হয়েছে তোমার সকল অঙ্গ সোনা' অতুলনীয় তাৎপর্ধযের ৷ 'সূর্ধের সেনা: “সোনার আগুন, “carn রং fra’ এ-ধরনের প্রয়োগে SIRS আছে, few বেদনার স্পর্শে আভরণহীনার অঙ্গ সোনা হয়ে যাওয়ার কথা নিকষে সোনার রেখার মতো আশ্চর্য ছ্যুতিমান। প্রতি-দিবসের কথার শব্দকেও যে অশেষ অর্থে তরে তোলা যায়, তার প্রমাণ এখানে পাই। আধুনিক কবির বনলতা সেন অতীতের বর্তমানতায় জেগে উঠেছে; তার জেগে ওঠায় বিদিশার অন্ধকারকে পেয়েছি, শ্রাবস্তীর সমুদ্ধিকে দেখেছি। যে অতীত স্থাবর হয়ে আছে তাকে নয়, কিন্তু সময়ের প্রসারিত ধারায় চিরজ্াগ্রত মহাকালকে ৷ এ ওএঁতিহ্য শব্দবোধের কল্যাণ-শ্রীর সঙ্গে জড়িত | ১৩



Leave a Comment