সমাজ ও সাহিত্যচিন্তায় বিবেকানন্দ ও নিবেদিতা | Samaj O Sahityachintai Vivekananda O Nibedita

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
স্থাপন করা-_-ইহাই হইল “শম” ও “দম” শব্দের প্রকৃত অর্থ |” তিতিক্ষার সাধনাকেই স্বামীজী “দুঃসাধ্য? বলে উল্লেখ করেছেন। সহিষ্ণুতার চরম আদর অন্যায়ের প্রতিরোধ না করা। তার জন্য অন্তরে দুঃখবোধ দেখা দিতে পারে--তা থেকেই ক্রোধ বা Hila উৎপত্তি । তিতিক্ষা'র আদর্শে ঘৃণা বা ক্রোধের স্থান নেই । “আমার মন এত স্থির ও শান্ত থাকিবে যেন কিছুই ঘটে নাই।**'ছু্ে প্রতিরোধ করিবার বা দূর করিবার চিন্তামাত্র না করিয়৷ মনের মধ্যে 'কোনো প্রকার ছুঃখময় অন্নভূতি বা অনুশোচনা না রাখিয়া সর্ববিধ ছুঃখের যে দহন তাহাই তিতিক্ষ! ।”১১ “উপরতি'র অর্থ “ইন্দ্রিয়ের বিষয়গুলি চিন্তা” না-করা | যা দেখ! যায় বা শোনা যায়, যা আমাদের দৈহিক প্রয়োজন মেটায়--সেগুলির চিন্তায় আমাদের অধিকাংশ সময় ব্যয় হয় । এগুলি সম্পর্কে আমরা অনেক বেশি চিন্তা করি বা কথা afer | জ্ঞানমার্গের সাধকের এ অভ্যাস ত্যাজ্য | যট. সম্পত্তির অন্যতম “শ্রদ্ধা” বলতে বোঝায় ঈশ্বরে গভীর বিশ্বাস এবং তাকে, লাভ করার SV প্রগাঢ় আগ্রহ | স্বামীজীর ব্যাখ্যায়, ঈশ্বরের অস্তিত্বে আস্তরিকভাবে বিশ্বাস-_-ঈশ্বরলাভের জন্য স্থতীত্র আকুতি যখনই মানুষকে উন্মাদ করে তোলে তখনই wala চরমরূপ প্রকাশ ate) “সমাধান অর্থাৎ মন ঈশ্বরে একাগ্র করিবার নিয়ত অভ্যাস | কোনে৷ কিছুই একদিনে সম্পন্ন হয় না | ধর্ম একটি বটিকার আকারে গিলিয়। ফেল! যায় না । ইহার জন্য প্রতিনিয়ত কঠোর অনুশীলনের দরকার ।”২ সাধন চতুষ্টয়ের অন্তর্গত নিত্যানিত্যবস্তু বিবেকের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বিবেকানন্দ বলেছেন, “কেবল ঈশ্বরই নিত্য, আর সব কিছু অনিত্য | সব কিছুই মরে-_দেবদূত, মানুষ, জীবজন্ত সব মরে-_পৃথিবী, ya, চন্দ্র, তারকা সব MHA হইয়া যায় ।'*'অদ্ভযকার পর্বতগুলি অতীতে মহাসাগর ছিল ; আগামীকাল তাহারা মহাসাগরে পরিণত হইবে'*'সমগ্র বিশ্বই পরিবর্তনের একটি fore 1 কিন্তু এক অপরিণামী বস্তু আছেন, তিনিই ঈশ্বর। আমরা যতই ঈশ্বরের নিকটবর্তী হই, পরিবর্তন আমাদের তত



Leave a Comment