সৈয়দ মুজতেবা রচনাবলী [খণ্ড-৪] | Syed Mujtaba Ali Rachanavali [Vol. 4]

[৮] স্পষ্ট হয় নি তার লেখায়। তাছাড়া slow motion ও rapid 10001-এ সিনেমা ছবি তুলে একই কালকে অতি সচল ও অতি অচল রূপে দেখানোর ঘটনা অনেক দিনের। এ বইতে এই দুটি ছাড়া আরও নানা শ্রেণীর এবং নানা আকারের ১৯টি রচনা আছে। বিষয়বস্তুর চরিত্র অনুযায়ী কোনোটি Hows ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা নিবেদন, কোনোটা বিশেষ তেবেচিত্তে লেখা, কোনোটা ভাষা বিষয়ে, কোনোটা বা অন্য লেখক বা শিল্পী বিষয়ে। কিন্তু যে বিষয়ে হোক, মুজতবা মুখ খুললে তা শ্রোতার না শুনে উপায় থাকে না। এক্ষেত্রে অবশ্য পাঠকের কথা বলছি। যদিও মুজতবা বারবার বলেছেন তিনি চাকরি পেলে লেখেন না, চাকরি না থাকলে লেখেন, তবু তার নিজস্ব প্রকাশভঙ্গি প্রায় সব স্থানেই উপস্থিত। এবং চাপে পড়ে লেখা অনেক লেখকের ক্ষেত্রেই সত্য, এবং তা আছে বলেই অনেক ভাল লেখার জন্ম হয়েছে। হাসনুহানা নিয়ে গবেষণামূলক রচনাটি অনেক তথ্যে সমৃদ্ধ এবং উপাদেয়। যে- কোনো বিষয়ে HU করতে গেলেই মুজতবার মনে একই সঙ্গে আরও দশ রকম চিন্তা ভিড় করে আসে, কিন্তু তাতে রচনার স্বাদ আরও বাড়িয়েই দেয়। ঢাকার কুট্টিদের বিষয়ে রচনাটি বেশ। কিন্তু Boa উৎপত্তি বিষয়ে কিছু সন্দেহ রয়ে গেল। ওদের বিষয়ে একটি কাহিনী এই রচনায় আছে। ঘোড়াগাড়ির ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি। দেড় টাকা সাধারণ ভাড়া, কিন্তু বাবুর জন্য এক টাকাতেই রাজি। বাবু বললেন, বল কি, ছ আনায় হবে না? BG গাড়োয়ান বলল, আস্তে কন কত্তা, ঘোড়ায় শুনলে QA IAT গল্পটা আর একরকম শুনেছি। | আনা শুনে BY বলল, ওরে, বাবুরে চাকার লগে বাইধা ল। দরখাস্ত নামক রচনার এই ঘটনাটি পড়ে আমার একটি গল্প মনে পড়ল। মুজতবা লিখছেন-_ একবার ফ্রান্সে ঢোকবার ফর্মে প্রশ্ন ছিল--তোমার জীবিকানির্বাহেব উপায় কি? উত্তরে লিখেছিলুম কিছুদিন অন্তর অন্তর চাকরি রিজাইন দেওয়া। তাহলে চলে কি করে? তুমি রেজিগনেশনগুলো দেখছ আমি চাকরিগুলো দেখছি। আমার যে গল্পটি মনে পড়ল ঃ এক চাকরিপ্রার্থিনীর সঙ্গে নিয়োগকর্তার কথা হচ্ছিল। “তুমি কি অবিবাহিত?” “তিনবার।” মাঝে মাঝে চাকরি ছাড়া এবং স্বামী ছাড়া প্রায় একই ৷ অবশ্য নতুন দেশে প্রবেশের মুখে যে সব মজার কাণ্ড ঘটে তা চেস্টারটনের একটি রচনায় পড়েছিলাম এককালে। প্রত্যেকেরই মজার অভিজ্ঞতা আছে এ বিষয়ে। মুজতবার ভাষা ব্যবহারের খামথেয়ালির কথা আর একবার বলি। তার যে সব শব্দ বা ইডিয়ম বাংলা নয়, তাব অনুকবণ অন্যের দ্বারা অসম্ভব, অতএব তাতে Gras কারণ কিছু নেই। কিন্তু যে সব ভুল শব্দ ব্যবহারে তিনি অন্য লোকেব অনুকরণ করেছেন সেখানে সাবধান হওয়া দরকার। দৃষ্টান্ত দিচ্ছি। তিনি একস্থানে লিখেছেন “ঢেলে সাজানো”। এই ইডিয়মটি Sar কারও সাজ ঠিক না হলে তা “ঢেলে' অন্য সাজ পরানো