সৈয়দ মুজতবা আলীর শ্রেষ্ঠ গল্প [সংস্করণ-১] | Syed Mujtaba Alir Shrestha Galpa [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
'ওদিকে ভাই প্রতি চিঠিতে লিখেছে, এটা হচ্ছে, সেটা হচ্ছে--করে করে যেদিন সে খবর পেল মসজিদ তৈরী শেষ হয়েছে, সেদিন রওয়ানা দিল দেশের দিকে | মুউক বন্দরে জাহাজে কাজ পায় আনাডী কালা আদমীও faq তকলিফে। তার উপর সমীরুদ্দী হরেক রকম কারখানার কাজ করে করে কলকন্ধ। এমনি ভাল শিখে গিয়েছিল যে, তারই সার্টিফিকেটের জোরে জাহাজে আর্লামের চাকরি করে ফিরল থিদিরপুর। সন্ধের সময় জাহাজ থেকে নেমে CATR চলে গেল শেয়ালদা ৷! সেখানে প্লাটফর্মে রাত কাটিয়ে পরদিন ভোরে BIBT মেল ধরে, Baw স্টেশনে পৌঁছল রাত তিনটেয়। সেখান থেকে হেঁটে রওয়ান। দিল ধলাইছড়ার দিকে-_আট মাইল রাস্তা, ভোর হতে না হতেই বাড়ি পৌছে যাবে। 'রাস্ত! থেকে পোয়াটাক মাইল ধানথেত, তারপর ধলাইছড়৷ গ্রাম | আলের উপর দিয়ে গ্রামে পৌছতে হয়। বিহনের আলো ফোটবার সঙ্গে সঙ্গে সমীরুদ্দী পৌছল ধানখেতের মাঝখানে | “মসজিদের একটা উচু মিনার থাকার কথা ছিল--কারণ মসজিদের নকশাট। সমীরুদ্দীকে করে দিয়েছিলেন এক মিশরী ইঞ্জিনিয়ার, আর হুজুরও মিশর মুল্লংকে বহুকাল ক!টিয়েছেন, তাদের মসজিদে মিনারের বাহার হুজুর দেখেছেন, মামাদের চেয়ে ঢের বেশী। 'কত দূর-দরাজ থেকে সে মিনার দেখা যায়, সে আপনি জানেন, আমিও জানি, সমীরুদ্দী জানে । মিনার না দেখতে পেয়ে AMPH আশ্চর্য হয়ে গেল, তারপর BT ক্রমে এগিয়ে দেখি-__কোথায় দিঘি, কোথায় টাইলের টঙিঘর ! আমি আশ্চর্য হয়ে শুধালাম, 'সে কি কথা | AAS যেন আমার প্রশ্ন শুনতেই পায় নি। আচ্ছন্নের মত বলে যেতে লাগল, “কিচ্ছু না, CAR YRC ভাঙা খড়ের ঘর, আরও পুরনো হয়ে গিয়েছে । যেদিন সে বাড়ি ছেড়েছিল সেদিন ঘরটা ছিল চারটা বাশের ঠেকনায় ATG, আজ দেখে ছটা ঠেকন|। তবে কি ছোট ভাই বাড়ি-ঘরদোর গাঁয়ের অন্য দিকে বানিয়েছে? কই, তা হলে তো নিশ্চয়ই ১৮



Leave a Comment