শিক্ষা ও দীক্ষা | Shiksha O Diksha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
শিক্ষা ও দীক্ষা উপরে শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে, তবে wa বুঝিয়াছি। আগে দেখিতে হইবে দেশের মানুষ৷ মানুষ অপেক্ষা মাছযের সম্পদ্‌ মহত্তর জিনিষ নয়। বস্তপরিচয় বা শাস্ত্রপারদর্শিতা দিয়া মানুষ গড়িয়৷ তোলা যায় না। মানুষকে বিদ্যায় শাস্ত্রে ভরপুর afr তুলিতে পার কিন্তু তবুও--ঠিক সেই হেতু--শাস্ত্রের মতনই সে হইয়া পড়িতে পারে প্রাণহীন পদার্থ | মূল কথা এই শিক্ষার আরম্ভ বিষয় fea নহে, শিক্ষার আরম্ভ শিক্ষার্থীকে দিয়া। শিক্ষার্থীর ভিতর হইতে অন্তর হইতে শিক্ষাকে প্রস্কুটিত করিয়৷ তুলিতে হইবে-_সেখানেই সব আছে, বাহিরের যে উপকরণাদি প্রয়োজন তাহা ক্রমে ক্রমে সহায়রূপে ইঙ্গিতরূপে যোগ করিতে হইবে । এইজন্য সকল শিক্ষার্থীর সাধারণ প্রকৃতি, শিশুর সাধারণ মনস্তত্ব জানিলেই হইল না- এ কথাটি আজকাল কেহ কেহ বুঝিতে আরম্ভ করিয়াছেন | কিন্তু প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বুঝিতে হইবে পৃথকৃভাবে। দেখিতে হইবে সম্যক্রপে হৃদয়ঙ্গম করিতে হইবে, যে শিক্ষা করিতে আসিয়াছে সে কেমন জীব, তাহার মধ্যে কি শক্তি, কি প্রেরণা, কি আকাঙ্ক্ষা লুক্কায়িত রহিয়াছে-_কোন্‌ বিশেষ গুণের আধার হইয়া সে জগতে আসিয়াছে। তাহার আপনার এই আত্মার সহিত তাহাকে পরিচিত করাইয়া দিতে হইবে--আর ইহারই নাম দীক্ষা। দীক্ষা যে পাইয়াছে, নিজের শক্তি, নিজের স্বাতন্ত্র্য, নিজের মধ্যে যে ভাগবত জীব তাহার সন্ধান পাইয়াছে তাহার আপন বিদ্যাসম্ভার সে সহজেই খু জিয়া লইবে । 4



Leave a Comment