রবীন্দ্র-সাহিত্যের ভূমিকা [সংস্করণ-২] | Rabindra-sahityer Bhumika [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কবি wharaty ৫ শুধু তাহার কবিপ্রকৃতির সহজ বোধ ও অন্তভূতিকে যুক্তি ও প্রমাণের মধ্যে, চিন্তা ও জ্ঞানের মধ্যে প্রতিষ্ঠা দান করিবার জম । তাহা তাঁহার নিজের জন্য ততটা নহে, যতটা পরের কাছে এই অহভূতিকে বোধ্য ও জ্ঞানলভ্য করিবার জন্য । তাঁহার জীবনদেবতার weve মূলত এইরকম একটি ভাবাঙভূতি এবং তাহাকেই তিনি নিজের অস্তরের মধ্যে পরম রম্ণীয় করিয়া রসের আধার করিয়া পাইয়াছেন, ভোগ করিয়াছেন। রবীন্দ্রনাথের 7a ও RAST অধ্যাত্মবোধের Kare আছে এই বিশেষ কবিপ্রকৃতি--রসের ক্ষুধা, ভোগের Bel, অঙ্ুভূতির ক্ষুধা Fafa যে এক শুভ্র নিরঞ্জন afasly দেবতার স্পর্শ বারংবার হৃদয়ের মধ্যে লাভ করিয়াছেন, যাহার লীলায় তাহার কবিজীবন অপূৰ ভাবরসে Bal উঠিয়াছে এবং যাহার প্রকাশ Slate অস্তরের মধ্যে স্রযালোকের মত উজ্জ্বল, সেই শুভ্র নিরঞ্জন দেবতাকেও তিনি পাইয়াছেন তাহার কবিহদয়ের অইভূতির মধ্যে, নানা ভাবে, নানা রূপে --কখনও তিনি দেবতা, কখনও বন্ধু, কখনও সখা, কখনও লীলাসাথী। যৌগিক সাধনার aga দুর্গম পথে তাঁহার দেব'তা আসেন নাই, কোন বিশেষ ধর্মাচরণের অপেক্ষাও তিনি রাখেন নাই, বহু RH, বহু ধ্যান-নির্দিধ্যাসন, বছ জ্ঞানের পথেও সে-দেবতার পদচিহ্ক পড়ে নাই, ‘A মেধয়া, A বহুধা শ্রুতেন,” তিনি আমসিয়াছেন তাহার সহভজ্র অহ্নভবের মধ্যে | দেবতাকে রবীন্দ্রনাথ জানিয়াছেন বলিব না,--বলিব তাহাকে তিনি পাইয়াছেন, ভোগ করিয়াছেন, প্রকাশ করিয়াছেন | উপনিষদের 'অনুরক্ত রসিক পাঠক রবীন্দ্রনাথের উপনিষদ তত্ত্বের মধ্যে বিচরণ করিবার আগ্রহ aw দেখি ay; দেখি, তিনি ডুব দিয়াছেন ayy অতলে, সেধানে কোন WG নাই, কোন বিচার নাই, বিরোধ নাই। সেইজনই রবীন্দ্রনাথ যখন উপনিষদ্‌ lal করেন, তখন সে-ব্যাখ্যায় উপনিষদ্‌-তত্ব ততটা পাই না, Fo) পাই উপনিষদের আপ্তবাক্যকে উপলক্ষ করিয়া রবীন্দ্রনাথের নিজের মর্মের উপলক্ধির say i উপনিযদের afaarey তখন রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ও ভাবে রূপাস্তরিত হইয়া, অঈভুতি দ্বারা প্রাণবন্ত হইয়া অপূর্ব কাবা হইয়! উঠে । জ্ঞানের সমস্ত পুঁজি নাড়িয়া বিচার করিয়া, বিবেচনা করিয়া যাহার সন্ধান আমাদের কাছে কিছুতেই স্পষ্ট হইয়া উঠে না, তাহা Stata কাছে ধরা দেয় অত্যন্ত সহজে, তাহা এক মুহুতে তাহার রসের FH, comets ক্ষুধা, জীবনাভিজ্ঞতার স্ষুণাকে তৃপ্তিতে ভরিয়া দেয়, আর সঙ্গে সঙ্গে তাহার প্রকাশ জীবনের মধ্যে অপুর্ব রসে ও সৌন্দর্ধে বিচ্ছুরিত হইতে থাকে | একদিন রবীন্দ্রনাথ বাংলা দেশের, তথা ভারতবর্ষেব, রাষ্ট্রীয় জীবনযজ্ঞে পুরোহিতের কাঙ্গ করিয়াছিলেন, স্বপ্বেশী-মন্তবের তিনিই facta উদগাত|। বাংলা দেশে তখন ssi স্থুবহ্‌ৎ ভাবের জোয়ার আসিয়াছিল, তেমন স্জোয়ার বুঝি এ-দেশে ইতিপূর্বে কথনও সাসে নাই, সাম্্রতিক কালে তেমন ভাবে বাংল! দেশ বুঝি আর কখনও আন্দোলিত হয় NF | সমস্ত বাধ ভার্ডিয়া গেল, রবীন্দ্রনাথ ভগীরথের মত বাংলা দেশের উপর দিয়া Sarg ধাবা বহাইয়া দিলেন | বিজয়ার দিনলেব মাহবাল ofan সমন দেশ মাতিয়। উঠিণ, দেখিতে দেখিতে amanda afeal ডঠিণ, ভিক্ষুকবৃতি ছাডিয়| দেশ নিজের দিকে মূখ ফিরাইল ; এ-সমও তাহ।রই প্রেরণা পাইয়।। গানে-কবিতায়-প্রণন্ধে-বক্তৃতায় বাংলা দ্রেণ যেন তাহার yet ভাষা পাইল ৷ কিন্তু, কেন তিনি এমন করিলেন, কেন তিনি নিজের ঘরে শাস্তি ও সমৃদ্ধির মধ্যে তৃপ্ত হইয়া রহিলেন না, এ-কথাটা বোঝ। প্রয়োজন । আমি কিছুতেই মনে করিতে পারি না, কোন প্রয়োজনের তাডনায় রবীন্দ্রনাথ এই ভ্রাতীয়-



Leave a Comment