পরমযোগিনী আনন্দময়ী মা [পর্ব-১] | Param Jogini Anandamoyee Ma [Pt. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
করে নিরীক্ষণ করতে থাকেন সেই শান্ত, অপার শান্তিময়, নির্মলচিত্ত শিশুকে । মহাশিশুকে। নির্মলা। নির্মলাস্থন্দরীকে। দিনের আলোয়। রাত্রির অদন্ধকারে। শিশুর ছদ্মবেশে আত্ম- গোপন করে, অনাদিকালের এই মহাশিশু grea মহাভাবের শৈশব- লীলায়, পৃথিবীর মানুষের নিকট হয়ে রইলেন এখনও অপ্রকাশ। তুই বিপিনবিহারী পিতৃভূমি বিদ্যাকূট পরিত্যাগ করে, আশ্রয় নিলেন এসে এই CAST গ্রামে। মাতুলালয়ে। প্রথম সন্তান জন্মের পর, সেই যে তিনি ঘর ছাড়া, দেশ ছাড়! হয়েছিলেন, আর ফিরলেন ঠিক কন্যাটির মৃত্যুর পর। তিন বৎসর অক্তিক্রান্ত করে। ভিন্ন এক বেশে । পরিধানে গেরুয়া-বসন । কৌপীন । মুখে হরিনাম। মেতে আছেন হরিসংকীর্তনে। বৈরাগ্য ভাব। খেওড়া গ্রাম মুগ্ধ হলো বিপিনবিহারী ভট্টাচার্যের নামগানে। বিশাল অট্টালিকা নয়। ছোট গৃহ । ছোট সংসার। অভাব আছে৷ অভাব-বোধ নেই । শাস্তির সংসার। সংসার নয়, যেন খযির আশ্রম। বাসের যোগ্য ছখানি চালাঘব। ছোট্ট উঠান। তুলসীমঞ্চ। ছখানি ঘরের একখানি ঠাকুরঘর। ঘরে আছে শালগ্রাম শিলা। পিতৃগৃহ forgo হতে আসবার সময় এই শালগ্রাম শিলা ও নিয়ে এসেছেন বিপিনবিহারী ৷ পূর্বপুরুষের কেহ কেহ সন্ন্যাসও গ্রহণ করেছিলেন | রাত্রি ata দিন আসে । মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ঘুরে আসে | ঘড়ির কীটার মত ধীরে ধীরে আবতিত মানুষের জীবন। মোক্ষদাস্ুন্দরীর গর্ভে আবির্ভাব হলো দ্বিতীয় সম্ভানের। শরীরের অস্বাভাবিক অবস্থা, তবুও অস্বস্তি নেই। দৈহিক সৌন্দর্যও দিনে দিনে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে লাগল ।



Leave a Comment