গান্ধী পরিক্রমা | Gandhi Parikrama

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
শতবাধিকীর অনুচিন্তন Aig রাধাবৃষ্ণণ ১৯৬৯ সনের CHA অক্টোবর, আততায়ীর হস্তে ১৯৪৮ সনের ৩০শে জানুয়ারী নিহত হবার প্রায় বিশ বৎসর পরে গান্ধীজীর জন্ম-শতবার্ষিকী গড়েছে। এই অবকাশে ভারতবর্ষ ও বিশ্বের উপর তাঁর জীবন ও চিন্তাধারার প্রভাব সম্বন্ধে বিবেচনা] করে দেখা যেতে পারে। ' চিন্তাধারার ক্ষেত্রে গান্ধীজী ছিলেন বিপ্লবী। মানবপ্রকৃতির বড় রকমের একট] পরিবর্তন সাধনের জন্য তিনি কাজ করেছিলেন। তাঁর কণ্ঠস্বর বিলীয়মান যুগের বা যে যুগ বিলীন হওয়া উচিত তার নয় তীর বাণী আগামী যুগের। বর্তমান অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকলে আমাদের চলবে না, ভবিষ্যৎকে আমাদের একটা নৃতন উদ্দেশ্যযযণ্ডিত করে তুলতে হবে-_ তাকে দিতে হবে একটা নবীন দিশা। বিপ্লবের মূলে থাকে উদ্দেশ্ঠের তীত্রতা-জাড়্য বা ওঁদাসীল্যের মেথানে কোন স্থান নেই। বর্তমানে আমরা ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে রয়েছি । মাহ্যের প্রবলতম শত atte দুঙিক্ষ বা জনসংখ্যার বিস্ফোরণ নয়। মানুষের সর্বাপেক্ষা প্রবল প্রতিপক্ষ হল পারমাণবিক Say! যুদ্ধকালে এ সভ্যতাকে সম্পূর্ণভাবে বিধ্বংস করতে পারে এবং শাস্তির সময়ও মানবজাতিকে প্রচণ্ড ও স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ক্ষমতা এর আছে। গান্ধী আমাদের নিরস্ত্র পৃথিবীতে প্রাণধারণের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন | meats ও বিদ্বেষ পরিহার করে আমাদের সহযোগিতা ও সম্প্রীতির ভিত্তিতে কাজ করতে প্রস্তুত হতে হবে। সত্যাগ্রহ তীর দেওয়া যুদ্ধের বিকল্প এবং এর ভিত্তি হল সত্যের উপর এঁকাস্তিক নির্ভরতা ও সংঘর্ষ উপস্থিত হলে প্রতি- রোধকারী কর্তৃক প্রেম ও আত্মনিগ্রহের পদ্থাইসরণ করা | চতুর্দিকের পরিবেশ যখন সর্বাপেক্ষা শোচনীয় বিপ্লবীর ইচ্ছাশক্তি তৎনই হয় সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী। পারমাণবিক যুদ্ধের ফলে মানবের অস্বিত্ব কী সর্বনাশাভাবে সংকটাপন্ন সে সম্বন্ধে পণ্ডিত বুদ্ধিমান ও সদিচ্ছাপরায়ণ ব্যক্তিরা ভালভাবেই জানেন। কোন সুস্থ-মস্তিষ্সম্পন্ন ব্যক্তি এ জাতীয় যুদ্ধ না চাইলেও আত আঁমরা সর্বশক্তি দিয়ে এ রকম যুদ্ধ ee করারই কাজ করছি। মানব



Leave a Comment