মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী [সংস্করণ-২] | Pally-punargathan [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৪ পল্লী-পুনর্গঠন সাধারণ ভবন থাকবে । গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে এবং এর ফলে পরিষ্কার জল পাবার ব্যাপারে নিশ্চয়তা মিলবে । পুষ্করিণী এবং ইদারা সুরক্ষিত করে এ কার্যে সফলতা লাভ সম্ভব । বুনিয়াদী পাঠ্যব্রমের অস্তিম পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা আবশ্যিক হবে ৷ গ্রামের কার্যকলাপ যথাসম্ভব সমবায়ের ভিত্তিতে পরিচালন] করতে হবে। আজকের মত জাতিভেদ প্রথা বা অস্পৃশ্যুতার অভিশাপ তখন থাকবে না। অহিংসা এবং এর কার্যকর রূপ সত্যাগ্রহ ও অসহযোগ গ্রামীণ সমাজের শক্তির মূলাধার হবে। সকলকে বাধ্যতামূলকভাবে গ্রামরক্ষী বাহিনীতে কাজ করতে হবে। এর wy সকলের নামে একটি তালিকা থাকবে এবং ওই তালিকা দৃষ্টে পালা করে সকলে এ কাজ করবে। গ্রামের শাসনকার্য চালাবে পাচ জনের একটি পঞ্চায়েত এবং স্ত্রী-পুরুষনিবিশেষে গ্রামের সকল প্রাপ্তবয়স্ক অধিবাসীর দ্বারা তাদের বাৎসরিক নির্বাচন হবে। পঞ্চায়েতের সদস্য নির্বাচনকারী এই সব গ্রামবাসীর ন্যুনতম যোগ্যত! নির্ধারণ করতে হবে । এই সব পঞ্চায়েতের হাতে যাবতীয় অধিকার ও কতৃত্ব থাকবে। অধুনা-প্রচলিত শাস্তিবিধির স্থান সেই সমাজে থাকবে না বলে এই পঞ্চায়েতই তাদের কার্যকালীন এক বৎসরের জন্য সম্মিলিত আইন সভা, বিচারক মণ্ডলী এবং ব্যবস্থাপক রূপে কাজ করবেন | আজই যে কোন গ্রাম এইয়কম সাধারণতন্ত্রে নিজেকে রূপান্তরিত করে নিতে পারে। গ্রামের সঙ্গে বর্তমান সরকারের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক কেবলমাত্র খাজনা আদায়ের স্থত্রে। কাজেই পূর্বোক্ত লক্ষ্যের পরিপূতির পথে এই সরকার খুব একটা বাধা দেবে না। প্রতিবেশী গ্রামসমূহের সঙ্গে, এবং আদেৌ যদি তখন কোন কেন্দ্রীয় শক্তি থাকে তবে সেই শক্তির সঙ্গে, এই রকম গ্রামের সম্পর্ক কী হবে-_এ বিষয়ে আমি এখানে কোন আলোচনা করিনি । আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে



Leave a Comment