মধু বসন্ত | Madhu Basanta

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মধু বসন্ত ৯ বেতন, পুজা-পার্বণ ইত্যাদির ব্যয় সংকুলান করবার পর Base এক- রকম কিছুই থাকে না। এই পর্যন্ত বলেই আবার তিনি ধূমপানে মনোযোগ দেন। বেশ কিছুক্ষণ ধূমপান ক'রে এক মুখ ধোয়া ছেড়ে নলটাকে গড়গড়ার গায়ে জড়িয়ে রেখে দেন। তিনি আবার শুরু করেন--তবে an, আদায়পত্র যদি ঠিকমত হয় তাহলে আয় যে একেবারে ZA না৷ তা নয়। কিন্তু দিনকাল যা ইয়ে উঠেছে তাতে তো মামলা ন| করলে কোন ব্যাটাই' টাকা দিতে চায় al | একটু চুপ করে থেকে নরেন্দ্রনাথ আবার বলেন-- যা, ভাল কথ, দাদা তো শুনতাম মস্তবড় “মাইন-এর মালিক 1 অনেক টাকা আয় ছিল তার। তাহলে তোমাদের তো টাকার অভাব হবার কথা নয়! এই বলে একটু হে ই করে হাসেন তিনি | ছন্দহীন বেমানান হাসি। তারপর একটু দম নিয়ে বলেন--ব্যাপার কি জানো, রজত, দাদা যে কারবার আর বাড়ি-ঘর করেছেন, হিন্দু-আইন অনুসারে তার সবই যৌথসম্পত্তি। আইন-মোতাবেক আমারও অংশ আছে তাতে, হে হে হেঁ-। এই হে হেঁ-র অস্তরালে নরেন্দ্রনাথ কি বলতে চান বুঝতে দেরি হয় না রজতের। সে তাই প্রতিবাদের স্থুরে বলে--আপনি ভুল করছেন কাকা, বাবার নিজস্ব কোন সম্পত্তি নেই। 'মাইন'টি পাবলিক লিমিটেড. কোম্পানি। ওর মালিক অংশীদাররা। আমরাও এখন অংশীদার ae আর কিছু নই। আর বাড়ি! ওটা আমার মার সম্পত্তি । বাবার নিজের সম্পত্তি বলতে মাত্র পঁচিশ হাজার টাকার লাইফ ইনসিওরেন্স-এর পলিসি ছাড়া আর কিছু নেই | রজতের কথায় হঠাৎ গম্ভীর হয়ে যান নরেন্দ্রনাথ। তারপর বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলেন-_দাদা! যে চালাক মানুষ ছিলেন তা আমি জানি | তার সম্পত্তিতে যে আমার কোন দাবি-দাওয়ার পথ তিনি রাখবেন না SA আমার আগেষ্ট বুঝা উচিত ছিল |



Leave a Comment