রবীন্দ্রনাথ নজরুল জীবনানন্দ | Rabindranath Najrul Jibanananda

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রবীন্দ্রনাথ ১৩ ছিল সারদা দেবীর ওপর । তাই ছেলেদের দিকে তিনি নজর দেবার সময়ই পেতেন না; ফলে শিশু রবিকে থাকতে হতোঁ চাকরদৈর হেফাজতে | ঠাকুরবাড়িতে তখন স্যাম নামে একটি চাকর ছিল ৷ তার ওপরেই ছিল রবীন্দ্রনাথের দেখাশুনার ভার fee শিশুকে দেখাশুনা করবার মত বাজে কাজে সময় নষ্ট করার চেয়ে আড্ডা আর ইয়াক্কি দেবার মত আসল কাজের দিকেই তার বেশি নজর ছিল cH তাই ভেবে-চিস্তে একটি মোক্ষম পথ বের করে ফেললে! ৷ সে রবীন্দ্রনাথকে দোতলার একটি ঘরে বসিয়ে ভার চারপাশে খড়ির দাগের গণ্ডি'একে বলতো যে, এই গণ্ডির বাইরে এলে মহাবিপদ হবে | কি যে বিপদ তা রবীন্দ্রনাথ জানতেন না ; তবে লক্ষ্মণের দেওয়া গণ্ডির বাইরে আসায় সীতাদেবীকে যে রাবণের হাতে ধরা পড়তে হয়েছিল, সে-কথা তিনি মায়ের মুখে শুনেছিলেন, এবং তা শুনে- ছিলেন বলেই তিনি গণ্ডির বাইরে আসতে ভীষণ ভয় পেতেন | তাই শ্যাম এসে তাঁকে মুক্তি-না-দেওয়া-পর্যস্ত তিনি সেই afer ভেতরেই বসে থাকতেন এমনি করেই শৈশবের দিনগুলি কাটছিল কবির । কিন্তু তার বয়স যখন চার পেরিয়ে পাঁচ বছরে পড়লে৷ তখন হঠাৎ তিনি মুক্তিলাভ করলেন শ্যামের গণ্ডি থেকে | কিন্তু শ্যামের জেলখানা থেকে মুক্তি পেলেও আর এক জেলখানায় ঢুকে পড়লেন তিনি। এটি হলে৷ গুরুমশায়ের জেলখানা। পাঁচ বছর বয়সে তাঁর লেখাপড়া শুরু হয় মাধব পণ্ডিতের কাছে। পণ্ডিত- মশাই তাঁর সমস্ত পাণ্ডিত্য প্রকটিত করে পড়ুয়াকে মানুষ করতে লেগে CAT! সে এক ভীষণ পড়া। সকাল থেকে রাত আটটা-নটা পর্যন্ত চলছে তো চলছেই পড়াগুনা। পণ্ডিতমশাই ছাড়া আরও কয়েকজন মাস্টার নিযুক্ত করা৷ হয়েছে রবীন্দ্রনাথের জন্যে । তারাও প্রাণপণে পড়িয়ে চলেছেন ছাত্রকে । বাংল ইংরেজী, সংস্কৃত, বিজ্ঞান



Leave a Comment