বাংলার দেশজ শিক্ষাধারা [খণ্ড-১] | Banglar Deshaja Shikshadhara [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১০ / বাংলার দেশজ শিক্ষাধারা নীতি রচনার প্রয়োজন, আর অন্যটি বাঙালির পুর্ণাঙ্গ সামাজিক ইতিহাস রচনার তাগিদ | আমাদের জাতীয় শিক্ষানীতির ব্যর্থতা যে অনেকখানি দেশজ শিক্ষার এঁতিহের প্রতি অবহেলার জন্য সেকথা মনে করার যথেষ্ট কারণ ACE | ১৯৪৭ স্রীস্টাব্ের পর একাধিক fin কমিশন তাঁদের প্রতিবেদন পেশ করেছেন | এইসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জাতীয় শিক্ষানীতিও রচিত হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ আজও সেই তিমিরে । হানে gd আত্যস্তিক প্রবণতা লক্ষ করা যায়। একদিকে দেশজ শিক্ষার এঁতিহ বিষয়ে গবেষণা, অন্যদিকে ত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিজ্ঞানের প্রতি উৎকেন্দ্রিক আগ্রহ। উনিশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে ইংরেজি শিক্ষার প্রতি এরকম আগ্রহই কিন্তু আমাদের গতিশীল দেশজ শিক্ষার অবলুপ্তি ঘটায় অথচ স্জনশীলতার নিরিখে আমরা আজও পশ্চিমী দেশগুলির সমপর্ধায়ে পৌছতে পারিনি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা৷ যায় যে মধ্যযুগের বাংলায় হ্তজনশীলতার স্বাভাবিক স্ফুরণের সাক্ষী হয়ে আছে নব্যন্যায়, নব্যস্থতি আর জনগণ-আদৃত বাংলা কাব্য-সাহিত্য। আসলে একটা দেশের মানবের মেধার স্বাভাবিক স্ফুরণের জন্য দরকার সঙ্গতিপূর্ণ গতিশীল শিক্ষা আর স্বাভাবিক প্রকাশমাধ্যম। আর এক কথা। দেশজ শিক্ষার এঁতিহকে স্বীকার করেই ষদি জাতীয় শিক্ষানীতি রচন] Fal সাব্যস্ত হয় তবে প্রশ্ন ওঠে, ভারতে কি এক এবং অভিন্ন দেশজ শিক্ষাধার| চালু ছিল। এবিষয়ে বোধকরি সন্দেহের অবকাশ নেই যে ভারতীয় সংস্কৃতি বিভিন্ন আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যের যোগফলমাত্। ফলে অঞ্চলভডেদে দেশজ শিক্ষার বিশিষ্টতাও স্বীকৃতি দাবি করে। আর তাই দেশজ শিক্ষার আঞ্চলিক ইতিহাস আলোচনাও জরুরি হয়ে ওঠে । দেশজ শিক্ষার এই আঞ্চলিক ইতিহাসের প্রতি গবেষকদের তেমন আগ্রহ দেখা যায় না। অন্তত বাংলার দেশজ শিক্ষার উল্লেখযোগ্য ইতিহাস রচিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই, যদিও ভারতের দেশজ শিক্ষার ইতিহাস সম্পর্কে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ ACTIN করেছেন। AACA প্রাচীন ভারতের শিক্ষা বা সংস্কৃতির ইতিহাস আলোচনা অপেক্ষাকৃত সহজ ৷ সাধারণত shay সংস্কৃতি ও শিক্ষার সঙ্গে বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও শিক্ষাধার৷ যোগ করে প্রাচীন ভারতের শিক্ষা ও সংস্কৃতির ইতিহাস লেখা হয়। দেশকালের বিশাল সীমায় রচিত এই ইতিহাসে উপাদানগুলির স্থান-কালের নির্দিষ্ট পরিচয়



Leave a Comment