স্বাধীনতা ৫০ পেরিয়ে | Swadhinata 50 Periye

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১১৬ MAMIE! ৫০ পেরিয়ে তাকে সরানো হল। ডিফেন্স থেকে গেল vas সিং-এর হাতে । কাজেই fem সাহেব পারে মত পরিবর্তনে Ard পেলেন না। mers মার লিগে শাসন পরিষদে আনা হয়েছিল ঘরোয়া আলাপ-আলোচনার সূত্রে একটা বোঝাপডায় পৌছতে | ব্রিটিশ পলিসিই ছিল প্রথমে হিন্দু-মৃসলমানের অর্থাৎ কংগ্রেস- লিগের বোঝাপড়া। fre নাটের গুরু গান্ধী আর fem youre বাইরে। তাদের মুখ দেখাদেশি নেই | বিয়াল্লিশের আন্দোলনের পরে কারামুক্ত হয়ে গান্ধীজী সতেরো দিন দিন্না সাহেবের বাড়িতে দরবার করেছিলেন। জিন্নার সেই এক কথা। মুসলিম নেশন চায় তার গঠোমলাান্ড পাকি জান । গান্ধীজী বলেন, আপনি কি সেই ন্যাশনালিস্ট নেতা যিনি ভারতের একতায় নিশ্বাস করতেন? fears বোধহয় অভিপ্রায় ছিল কেন্দ্রের তথা প্রদেশগুলিতে ta লিগ ক্রোয়ালিশন প্রতিষ্ঠা। কিন্তু গান্ধীজী বলেন, আগে তো কংগ্রেস নেতারা কারামুক্ত হোন, তারপর তাঁদের সঙ্গে আপনারা কথাবার্তা বলুন। আমি কংগ্রেসের মেম্বার নই। আমি কথা দিতে পারিনে। fem সাহেবের ধারণা ছিল গান্ধীই সর্বেসর্বা, হাইকম্যান্ড তার হাতের পুতুল। কিন্তু হাইকম্যান্ডের সঙ্গে গান্ধীর এই মর্মে একটা সমঝোতা হয়েছিল যে সত্যাগ্রহের প্রয়োজন হলে গান্ধীজী হবেন তার সর্বাধিনারক। পার্লামেন্টারি ক্ষমতা গ্রহণের সময় হাইকম্যান্ড যা করবার করবে। তার কাছে পরামর্শ চাইলে তিনি পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু তার সেই পরামর্শ মান্য করা না করা হাইকম্যান্ডের ইচ্ছাধীন। বড়লাটের শাসন পরিষদ পুনর্গঠনের পর ঘরোয়াভাবে আলাপ-আলোচনার সুযোগ মেলে নেহরু পটেল ও লিয়াকৎ আলি খানের মধ্যে । গান্ধী জিন্নাকে কী পরামর্শ দেন জানা যায় না। তবে এইটুকু শোনা গেল কংগ্রেস ও লিগ “পয়েন্ট অব নো রিটার্ন'-এ পৌছে CATR অর্থাৎ মিটমাট হল না। ঘটে গেল চিরবিচ্ছেদ। একে বলা হয় 'মোমেন্ট অব Fa"! সত্যের মুহূর্ত। ভারত ভাগ অনিবার্য। ভবিষ্যতে ক্ষমতার অংশ পাওয়ার আশা নেই দেখে হিন্দু-শিখরা wey প্রদেশের দাবি তোলেন। কিছুদিন পরে বাংলাদেশের হিন্দুরা, বিশেষ করে বর্ণহিন্দুরা ক্ষমতা লাভের সম্ভাবনা নেই দেখে WSR প্রদেশ চায়। গান্ধীজী কোন প্রকার পার্টিশন সমর্থন করেন না। না বাংলা দেশের পার্টিশন, না পাঞ্জাবের পার্টিশন। এই ব্যাপারে তার সঙ্গে নেহরু ও পটেল দুই কংগ্রেস নেতার মত মেলে না। তারা পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ব পাঞ্জাব কংগ্রেসের ভাগে রেখে অবশিষ্ট মুসলিম প্রধান অঞ্চল ও প্রদেশ মুসলিম লিগের ভাগে ছেড়ে দিতে চান। তার মানে দুই কেন্দ্র দুই প্রস্থ প্রদেশ। জিন্না সাহেব রাজি হন না। কিন্তু বড়লাট মাউন্টব্যাটেন প্ল্যান তৈরি করেন। তাতে দেশ ও প্রদেশ পাকাপাকিভাবে ভাগ করা হয়। তবে মুসলিম লিগ পায় উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও অসমের সিলেট জেলা। কংগ্রেস মন্ত্রীদের দ্বারা শাসিত উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ চলে যায় লিগ মন্ত্রীদের দখলে। তার আগে একটি গণভোট হয়। তাতে খান আবদুল গফ্‌্ফর খান-এর দলবল ভোট দেন না। গান্ধীজী তার শিষ্য ও বন্ধু খান আবদুল PAA খান-এর দলকে নেকড়ে বাঘদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন। কিন্তু কী করবেন! পার্টিশন মেনে নিলে সীমান্ত গান্ধীকে বিসর্জন দিতে হয়। গান্ধীজীর পক্ষে এটা এক প্রকার পরাজয়। তা না হলে মাউন্টব্যাটেনের পরিকল্পনা পক্ষপাতদুষ্ট নয়। অধিকাংশ হিন্দুর ইচ্ছায় খণ্ডিত ভারতে কংগ্রেস রাজ হয়েছে, অধিকাংশ মুসলমানের ইচ্ছায় খণ্ডিত পাকিস্তানে মুসলিম লিগ রাজ হয়েছে। এই দুই বৃহৎ দলকে একজোট করার সামর্থ্য গান্ধীজীর ছিল না। তিনি মেনেই নিলেন যে হিন্দু- মুসলমানকে একসঙ্গে মেলাতে তিনি ব্যর্থ। তবে তার মতে হিন্দুরা যে যেখানে আছে সে সেখানে থাকবে, মুসলমানরা যে যেখানে আছে সে সেখানে থাকবে। কাউকেই (জোর করে



Leave a Comment