বাংলার বারোভুঁইয়া ও মহারাজ প্রতাপাদিত্য | Banglar Barobhuiya O Maharaj Pratapaditya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২৬ বারোডুইয়া বিস্বৃত হইয়াছিল। PAH উত্তর ভাগে ভামো ও প্রোম অঞ্চলে অনেক বড়ুয়া মগ দেখা যায়। তাহারা আসামদেশীয় রাজবংশীয় সম্ভান। বড়ুয়া শব্দের অর্থ বড় লোক বা সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি রাজার শ্বশুরগোষ্ঠী সকলেই বড়ুয়া গণ্য হইত। রাজার দৌহিত্রগোষ্ঠী ঈশ্বর। রাজার সহিত কুটুম্বিতা-বিহীন উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের উপাধি কারজী বা alt) ব্রাহ্মণ ভিন্ন সকল হিন্দুই রাজবংশী মধ্যে গণ্য। স্ত্রীজাতি এই দেশে সম্পত্তিবিশেষ মধ্যে গণ্য ছিল, সুতরাং তাহাদিগকে পুরুষেরা ইচ্ছামত দান বিক্রয় ও বন্ধক দিতে পারিত। সতীত্র ধর্ম এখানে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিল। ধর্ম কাহারও একচেটিয়া নহে। বিধর্মীদিগকে সনাতন ধর্মে গ্রহণ করিতে শাস্ত্রে বিধান আছে। বৌদ্ধদিগকে সনাতন ধর্মে গ্রহণ করা হইয়াছে, তাহার প্রচুর প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু তাহারা সকলেই YF হইয়াছে। হিন্দুদের নানা জাতি, নানা শ্রেণী এবং তাহার অসংখ্য শাখা প্রশাখা হওয়াতে এখন কোন্‌ বিধর্মীকে কোন্‌ শ্রেণীতে গ্রহণ করা হইবে, তাহা নির্বাচন করা যায় না। এই জন্য বিধর্মীকে হিন্দু ধর্মে গ্রহণ করিবার প্রথা অপ্রচলিত হইয়াছে। চৈতন্যপ্রভুর বৈষ্ণব মতে ব্রাহ্মণেরা “অধিকারী” আর সকল জাতীয় লোকই “বৈষ্ণব”; এই দুইটি মাত্র ভাগ ছিল এবং সেইদুই ভাগের আর কোন শাখা প্রশাখা ছিল না। এজন্য তিনি কতিপয় মুসলমানকে বৈষ্ণব রূপে গ্রহণ করিয়াছিলেন। তাহার পর বৈষ্ণবদিগের মধ্যেও জাতিবিচার আরম্ভ হওয়ায় বিধর্মীকে বৈষ্ণব করা অসম্ভব হইয়াছে। নানকের শিখ (শিষ্য) ধর্মেও ব্রাহ্মণ ও শিষ্য এই দুইটি মাত্র শেণী ছিল। তজ্জন্য নানক অনেক মুসলমানকে শিষ্য করিয়াছিলেন। পরে শিখের মধ্যেও জাতিভেদ ies হওয়ায় বিধর্মী গ্রহণ করা রহিত হইয়াছে। আসামে ব্রাহ্মণ ও রাজবংশী ভিন্ন হিন্দুর অন্য বিভাগ নাই। এজন্য তথায় বিধর্মীকে হিন্দু করিবার প্রথা বরাবর প্রচলিত আছে। এখানে হিন্দু বলিলেই রাজবংশী বুঝায়। এখানে মুসলমানকে হিন্দু করিবার রীতি এই যে, ত্রাহ্মণ কিংবা অধিকারীর উপদেশমত মুসলমান ভক্ত কয়েকবার হরিবোল হরিবোল বলিয়া গোবর-জলে স্নান করে। তাহার পর দাড়ি কামাইয়া ভক্ত শুকরের রক্ত খার এবং মাটিতে পড়িয়া দেববিগ্রহ প্রণাম করে। তাহার পর আবার হরিবোল বলিতে বলিতে তুলসীজলে স্নান করিয়া ব্রাহ্মণ ও অধিকারীকে প্রণাম করে, দেববিগ্রহ প্রণাম করিয়া নির্মাল্য মস্তকে লয় ; অবশেষে দেবতার প্রসাদ ও চরণামৃত সেবন করিলেই বিশুদ্ধ হিন্দু অর্থাৎ রাজবংশী হয়। মুসলমান ভিন্ন অন্য জাতির হিন্দু হইলে দাড়ি কামাইতে হর না, শুকরের রক্ত খাইতে হয় না এবং গোবর-জলেও স্নান করিতে হয় না। তাদৃশ ভক্তেরা তুলসীজলে স্নান করিয়া কয়েকবার হরিবোল বলে। তাহার পর দেবতা, ব্রাহ্মণ ও অধিকারীকে প্রণাম করিয়া প্রসাদ ও চরণামৃত প্রহণ করিলেই অমনি বিশুদ্ধ হিন্দু গণ্য হয়। আর সেই রাজবংশী লেখা পড়া জানিলেই কায়েত হয়, বড় চাকরি পাইলেই কারজী হয়, রাজার কুটুস্ব হইলেই বড়ুয়া হয়। ব্রাহ্মণের ওরসে রাজবংশী রমণীর aSare wei “অধিকারী” হয়। তাহারা ব্রাহ্মণ হয় না, উপনয়ন ধারণ করে না, fre fry শ্রেণীর রাজবংশীয় পৌরোহিত্য করিতে পারে। নূতন কোন (লোক ব্রাহ্মণ হইবার কোন বিধান হিন্দু শাস্ত্রে নাই। সুতরাং তাহা এখানে হয় না এবং কোন স্থানেই কোন কালে হয় না। ভারতবর্ষে এবং আফগানিস্তানে এখন যত মুসলমান আছে, ইহাদের WA চোদ্দ আনা অংশই হিন্দুসন্তান। তাহারা নানা কারণে ANT হইয়া একবার মুসলমান হইয়াছিল। পুনরায় সনাতন ধর্মে আসিতে না পারিয়া অগত্যা মুসলমান হইয়া রহিয়াছে। তাহাদের দ্বারা হিন্দুদের বছল অনিষ্ট হইয়াছে এবং হইতেছে। পেশোয়ারের নিকটবাসী cary জাতি তিন শত বৎসর যাবৎ স্বর্ধর্ম রক্ষার্থ মুসলমান সহ যুদ্ধ করিয়াছে। পরে মহম্মদ গোরী তাহাদিগকে মুসলমান ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করিয়াছিলেন। তাহারা সেই আক্রোশে পরে গোরীকে হত্যা করিয়াছিল। কিন্তু



Leave a Comment