নীল দুর্গম | Nil Durgam

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ৰ॥ ১ ॥ সেকি! লাল আলোটা সবুজ হয়ে গেছে! কখন হল? এইমাজ্জ কি? এর আগে তো চোখে পড়ে নি। পড়বে কেমন করে? আত্মীয়-স্বজন সহ্‌ অগণিত শুভাহধ্যায়ীর আগমনে প্লাটফর্মে তিল ধারণের স্থান নেই। তাঁরা ফল ও মিষ্ট এনেছেন | ফুলের তোড়া ও মালা এনেছেন, উৎসাহ দ্বিয়েছেন, আলিঙ্গন করেছেন, আশীর্বাদ করেছেন। এতক্ষণ কি অন্য কোন দিকে তাকাবার অবসর ছিল, না থাকে ? লালকে সবুজ হতে দেখি নি, কিন্তু স্টেশনে আসার পরে গত এক ঘণ্টায় যা দেখেছি তার তুলন] নেই। স্বজন-স্বগনণের অস্তরের সবটুকু প্রীতি SVITA যে OTSA পেয়েছি, তা অভুতপূর্ব। বার বার মনে হয়েছে এই স্বতঃস্কৃর্ত অভিনন্দন পাবার যোগ্যতা আমাদের আছে কি? আমরা কি পারব নীলগিরি বিআয় করতে ? নিশ্চয়ই পারব । কিন্তু যার অক্বপণ করুণা না হলে, এই অভিযানের আয়োজন সম্ভব CS না--আমাদের সেই শ্রদ্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী শারীরিক অসুস্থতার জন্য আজ স্টেশনে আসতে পারেন নি। ব্যথা পেয়েছি, কিন্তু বিমর্ধ হই নি। কারণ আমরা জানি তিনি carmen থেকেও আমাদের আশীর্বাদ করছেন। আমাদের সবাইকে গাড়িতে উঠতে দেখেই, নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় পমেরো মিনিট পরে, গার্ডসাহেব বীশীতে ফু দিলেন। আত্মীয়-বন্ধুর সমবেত জয়ধ্বনির মধ্যে দুন এক্সপ্রেস নড়ে উঠল। কতবার তো এই গাড়িতে চেপে কত জায়গায় গিয়েছি। প্রতিবারই এমনি করে লাল আলো সবুজ হয়েছে। গার্ডসাহেব বাণী বাজিয়েছেন, আলে দেখিয়েছেন, দুল এক্সপ্রেস নড়ে উঠেছে। কিন্তু এমন অঙ্ছভুতি তো কোনোদিন হয় নি। এমন উৎসাহ, এমন উদ্দীপন], এমন সম্বর্ধনা, জীবনে এই প্রথম। ধীরে ধীরে আমাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ও শুভাঈইধ্যায়ীরা প্যাটফর্মের জনারণ্যে মিলিয়ে গেলেন। মিলিয়ে গেল আলো-ঝলমল হাওড়] স্টেশন ও কলকাতা মহানগরী--যে নগরী থেকে গত তিন বছর যাবৎ প্রতিবার এমনি একদল দামাল ছেলে দুন এক্সপ্রেসে চেপে হিমালয়ের গর্বকে খর্ব করার প্রচেষ্টায় যাত্রা করে। গাড়ি চলল বেঁকে এগিয়ে । আমরা চললাম এগিয়ে--ব্রম্নকমল পরিবেষ্টিত অমল ধবল শুভ্র WaT গাড়োয়ালের নীলগিরির fers | HH হল OF) মনে পড়েছে আর এক সেপ্টেম্বরের সন্ধ্যায় এমনি ভাবেই



Leave a Comment