কাব্য-রত্নমালা [ভাগ-১] | Kabya-ratnamala [Pt. 1]

tle/® আদিরসের গন্ধটুকু কোথায় বিলীন হইয়া যাইবে! এমন কি জয়দেবের “নিভৃতনিকুঞ্জগৃহং ston” বা “রতিস্তুথসারে গতমতি- ata’ এই দুইটি গানে _যাঁহার বাঙ্গালা ব্যাখ্য৷ করিতে আমা- দিগকে কুণ্ঠা বোধ করিতে হয় -এই ছইটা গানেও শুধু একটা বিরহের আর্তনাদ, মিলনের ব্যাকুলতা ও সেই সঙ্গে একটা উদাস ভাব grad মধ্যে লুটয়৷ লুটিয়া পড়িবে--তাহার মধ্যে কামগন্ধের লেশও পাওয়া যাইবে না; সমস্ত লালসা ছাপাইয়া আধ্যাত্মিক ভাব আপনিই afta উঠিবে। বৈষ্ণবপদাবলী সম্বন্ধেও এইটুকু মনে রাখিতে হইবে যে সেগুলি শুধু কবিতা নহে, সেগুলি সঙ্গীত | গীত- গোবিন্দের' গানের মত সেগুলিও যদি fates aca গীত হয়, তাহা হইলে বিদ্যাপতির সম্ভোগবর্ণনার গামেও কেবল সৌন্দর্য্যটুকুই সুরের ভিতর খুরিয়া ঘুরিয়া বেড়াইবে, আদি রসের ভাবগুলি কোথায় চলিয়া যাইবে, তাহার চিহ্নও কেহ পাইবেন না। বাধা Srey প্রণয়-কাহিনী যদি লীযুক্ত অজিত কুমার চক্রবর্তীর মতান্্ারে ey 'যৌন সম্বন্ধের কাহিনী হইত, যদি তাহার মধ্যে আধ্যাত্মিকতা a dees. তাহাহইলে গীতগোবিন্দের গানগুলি অন্য Wa রচিত হইত, ata বৈষ্ণব কবিরাও খেমটা বা Batta wea তাহাদের পদাবলী লিখিতেন। পাঁচ শত বৎসর ধরিয়া বাঙ্গালার কবিগণ যে গান গাছিয়া গিয়াছেন, “sinters মালমসলা যোগানো' তাহার উদ্দেশ্য নহে; লালসার ভাব এত স্থায়ী নহে যে তাহাকে অবলম্বন করিয়া এত বৎসর ধরিয়া এত বড় একটা সাহিত্যের স্থষ্টি হইতে পারে। বিদ্বাপতির কবিতায় আদিরসের কিছু বাড়াবাড়ি দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার কারণ তিনি সকলের অপেক্ষা প্রাচীন কালের কবি। সময়' যতই অগ্রসর হইতেছে, রুচির ততই পল্লিবর্তন হইতেছে; fagtafer পরবর্তী কবিগণের কাব্যের মধ্যে ক্রমেই এই ATTA ae হইয়া আসিয়াছে । প্রাচীন কালের রুচির সহিত এখনকার রুচির্‌ তুলনা করা Mota | কোনও স্ত্রীলোকের রূপ বর্ণনা করিতে