যক্ষিণী | Jakshmini

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মনে পড়ে সেই বীভৎস দর্শন মানুষকে। ঠোটের বাইরে দীত, ঘোলাটে লাল ছ'চোখ। চোখের কোণে কালো কালি ঢালা, ছ'পাশের গালের হাড় বিচ্ছিরি রকমের উচু, কপাল-মাথা তিন cath | মাথা বেয়ে পিঠ বেয়ে মাটিতে লুটোচ্ছে খয়েরী রঙের বিশাল Sr! ধুসর দাড়ি-গৌফ, পরনে স্রেফ একটা কৌপিন ৷ নীরস SLUT প্রথম কথা বলেছিল বখন, বাজ পড়ারই আওয়াজ শুনেছিলুম আমি । নিজেকে একটু সংযমে রাখার চেষ্টা করেছিলুম। সামলে নেবার প্রয়াসে বোধহয় কিছু দবলতা প্রকাশ হয়ে পড়েছিল | তা না হলে ওই বিদঘুটে স্বর্পনখ নামের লোকটা আকাশ-বাতাস কীপানো অমন অট্টহাসি হেসে উঠল কেন? বলল, আমার নাম ধরেই, হঠাৎ অত ভয় পেয়ে গেলি কেন? sel আর পূর্ণা এরা তো তোকে আর বলি দিতে নিয়ে আসেনি এখানে । কি দেখে ভয় পেলি? আমাকে দেখে, না এই ধাঁড়ায় মাখানো রক্ত দেখে? চুপ করে রইলি কেন মুহূর্তে আমার স্থানত্যাগ করতে ইচ্ছে করছে। জায়গাটা মোটে ভাল লাগছে a! চতুর্দিকে খোলামেলা, আকাশের নীচে বসে আছি পাহাড়ের ওপরে ৷ তবুও ভাল লাগছে না আমার । জঙ্গল পেরিয়ে এসেছি যখন, তখনও মনটা বেশ অস্থির ছিল। তখন বেলা ছিল, xf ডোবার মুখোমুখি, তবুও জায়গাটায় ঘন ছমছমে ভাব জেঁকে বসেছে | অন্তত আমার তাই মনে হয়েছে। মনে হয়েছিল, মানুষের রাজ্য থেকে সত্যি সত্যি কোন প্রেতপুরীর অন্দর- মহলে প্রবেশ করছি বুঝি-বা। কান্তা-পূর্ণার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখেছি। ওরা নির্বিকার এপাহাড়ে মানুষ যে আসে না একদম তা AW | আসে তো অনেকেই |



Leave a Comment