তারাশঙ্কর অন্বেষা | Tarasankar Anwesha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তারাশস্কর ACI] ° এই ছবিতেই ভবিষ্যৎ ঘটনার ইঙ্গিত আছে। যাই cate, নিতাইয়ে এই আকস্মিক প্রতিষ্ঠা স্মৃতির অনুষঙ্গে অন্য এক বিখ্যাত কবিয়াল তারণ কবির কথা যেমন মনে করিয়ে দিয়েছে তেমনি প্রথম অভিজ্ঞতার অসতর্ক ও অপ্রস্তুত অবস্থাটাকে কাটিয়ে উঠতে সে সংক্ল্প করেছে। | ভবিষ্যৎ কবিগায়ক হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্যে সে পুরোনো! পুথির পাতা ওল্টাতে VF করেছে, ছোট কাজ ভেবে কুলিগিরি ছেড়ে দিয়েছে । বন্ধুবান্ধবের ঠাট্টা ইয়াকিকে সে ক্ষমা করতে শুরু করেছে । জীবিকার সঙ্গে তার প্রতিভা-সচেতমন মনের লড়াই স্তরু হয়েছে। কুলিগিরি ছেড়ে দোকান Sata সংকল্প করেছে। কিন্তু বিয়ে করে সংসার করার ইচ্ছে তার নেই । কারণ পে ভালোই জানে, ডোমের মেযে কবিয়ালের কদ্র বুঝবে a] । তাছাড়া কবির স্বপ্নের মেয়ে তো ডোমেদের মধ্যে পাওয়াই মূসকিল। ঠিক এই রকম বিষন্ন স্বপ্নময় মানসিক অবস্থায় নাটকীয়ভাবে ঠাকুরঝিকে উপন্যাসিক হাজির করেছেন ? (রাজা আর নিতাই দুজনেই যখন সুন্দরী তরুণীর কল্পনা করছে (রাজার কাছে পূুর্বস্থতি, নিতাইয়ের কাছে কবি-কল্পনা । ) সেই সময গুপন্যাসিক নিতাইয়ের সামনে সেই পুরোনো “শট”-টি ফিরিয়ে নিয়ে এলেন | ছুটি লাইনের বীকের মুখে একটি বিন্দুর ওপর চলস্ত একটি শাদ] কাশফুলের রেখা । রেখাটির মাথায় সোনার ফোটা ।) তারপরই রাজার ঠাট্টায আহত ঠাকুরঝির প্রতি নিতাইয়ের মনে সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা জাগলো। এবং সেই সহাতৃতির আবেগে নিতাইয়ের মুখে এলো আশ্চর্য একটি গানের কলি “কালে যদি মন্দ তবে কেশ পাকিলে কাদ কেনে ।” নিজের গানের কলিতে নিজেই মুগ্ধ নিতাই একদিকে যেমন Ae ও প্রতিভার we এক্ষটু Re অন্যদিকে তেমনি ঠাকুরঝির সঙ্গে নিঃসংকোচ সমবেদনার প্রকাশে খুবই সহজ হয়ে পড়েছে। দুজনেই ছুজনের অভিমান ভাঙিয়ে অনেক কাছাকাছি চলে এসেছে ৷ হঠাৎ ঘোমটা-থসা ঠাকুরঝির কালো চুলে লাল জব! দেখে নিতাইয়ে কবিপ্রাণ জেগে উঠেছে। গানের দ্বিতীয় কলিটিও এই wae হঠাৎ-পাওয়া | কিন্তু সম্পর্ক সহজ হয়েও হয় না । একদিকে কবির প্রাণে জোয়ার। সামনে ছুটস্ত কিশোরী ঠাকুরঝির স্বপ্ন, অন্যদিকে কুলিগিরি-ছাড়া একবেলা-খাওয়া aay শরীরের BB, আর একদিকে ঠাকুরঝির সঙ্গে তায় হাসি ঠাট্টা চা খাওয়া দেখে রাজার স্রীর তীক্ষ faa এবং আধিক প্রত্যাশায় নিয়ে মোহস্তের কাছে 'প্রত্যাখ্যান--সব মিলে নিতাইয়ের মনে এক বেপরোয়া ভাব নিয়ে এসেছে |



Leave a Comment