নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচনাবলী [খণ্ড-৭] | Narayan Gangopadhyay Rachanabali [Vol. 7]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রোমান্স 4 আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে | তখনও আড়িয়াল খা এত “te হয়ে যায় নি--নদীর তখন বিক্রম ছিল কত! বর্ষায় তখন এপার ওপার কিছু দেখা যেত না, FE করতো শুধু। সে নদী এখন নিরীহ হয়ে গেছে! এখন তেমন করে আকাশ দুলিয়ে GH Gi করে ঝড়ও আসে না। অথবা সেই ঝড়ের ডাকে জলও মাতালের মত নাচতে শুরু করে দেয় না। তোমাদের আজকালকার মিহি প্রেমের অবস্থা আর কি। তোমার ঠানদি, মানে বজতারা দামী ছিলেন states সেনচৌধুরীর মেয়ে। নামটা খেয়াল রেখো। বারিস্টার সেনের মেয়ে ডালিয়া সেনের সঙ্গে এ নামের ঢের তফাত, তা বোধ হয়-- আঃ, আবার aes কথা কেন টেনে আনছেন দাদামশাই ? states সেন- চৌধুরীর মেয়ের কথা বলছিলেন বলুন। থাক ভায়া, মনে যদি কষ্টই পাও, wl হলে এসব তুলে তোমাকে আর দুঃখ দেব না। আচ্ছা, তোমার ঠানদ্রির কাহিনীই শোন । আমার শ্বপ্তরবাড়ীর গ্রামের নাম করালীপুর। সেখানে যেতে হ'লে মাঝখানের ওই চড়াটা ঘুরে এখন তোমাকে প্রায় পনেরো মাইলের মত আড়িয়াল খা পাড়ি ঢ্রিতে হুবে। কিন্তু এ অস্থুবিধে তখন ছিল না। পালে একবার বাতাস পেলে ছুমাল্লাই নৌকা প্রায় জাহাজের মত ছুটে ছুঘ্ণ্টায় চৌধুরীবাড়ীর ঘাটে গিয়ে লাগত। সে-সব স্থবিধা স্বপ্নের মত মনে BT | আমাদের বড় নৌকার যে মাঝি ছিল, তার নাম নাজির। তোমাদের যে সমস্ত কুণ্ডিগীর প্রফেসাররা আজকাল আড়াই ইঞ্চি apa ফুলিয়ে লোকের বাহাদুরি নেবার আশায় কাঙাল হয়ে খুরে বেড়ায়, তারা নাজিরকে দেখলে ই! করে থাকবে। কালে মার্বেল পাথরে হাতুড়ি-বাটালি কুঁদে কে যেন তাকে তৈরী করেছিল! ঝড়ের সময় যখন আড়িয়াল থার সংযম থাকত না, লাগাম ছেঁড়া পাগন। ঘোড়ার মত নৌকোটা ঢেউয়ের মুখে লাফালাফি করত, তখন তাকে সামলাতে পারত একমাত্র নাজির। হাতের পেশীগুলো তার লোহার বলের মত ফুলে উঠত, কালে মুখের ভেতর থেকে সাদা সাদা তীক্ষ দাত একটা হিংস্র হাসির ভঙ্গিতে বেরিয়ে ates | বলেছি, আমাদের যখন বিয়ে হয়েছিল, তখন আমরা ছুজনেই frets ছেলেমান্্য। সে বয়সে আর প্রেমের কি জানতুম, বল ? ছুজনে খিড়কির বাগানে গিয়ে ফলঙ্কুলারি চুরি করতুম, তোমার ঠানদ্বি নালিশ করে fires বিনা বিচারে এবং বিন! বাক্যব্যয়ে তার পিঠে ঘাকৃতক বসিয়ে দিতুম। তা ছাড়৷ ঝগড়া মারামারি তো দ্বিনরাত্তির BABE |



Leave a Comment